ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দেশে বেকার মানুষ বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৩৫ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৮

দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১০-১১, ২০১৩-১৪ এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে বেকার ছিলেন ২৬ লাখ মানুষ। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই সংখ্যা বেড়ে ২৭ লাখ হয়েছে। অর্থাৎ বেকার মানুষ বেড়েছে এক লাখ। তবে বেকারত্বের হার আগের বছরের মতো চার দশমিক দুই শতাংশে স্থির রয়েছে।

বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপে বেকারের সংখ্যা বাড়ার এই তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিএস।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ড ব্যবহার করে বেকারত্বের এই হিসাব করেছে বিবিএস। আইএলওর মানদণ্ড অনুযায়ী কাজ করার সক্ষমতা আছে এমন জনগোষ্ঠীর মধ্যে যারা সপ্তাহে অন্তত এক ঘণ্টাও কাজ করেন না তাদের বেকার হিসেবে গণ্য করা হয়।

বিবিএস প্রকাশিত ত্রৈমাসিক বেকারত্বের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি ছিল। এসময় সর্বোচ্চ ২৯ লাখ মানুষ বেকার ছিল।

বেকারত্বের হার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৬-১৭ অর্থবছর দেশে শহরাঞ্চলে নারী বেকারের সংখ্যা বেড়েছে।
এসময় চার লাখ নারী বেকার থেকে শহরাঞ্চলে পাঁচ লাখ বেকার হয়েছে। তবে দেশে নারীর কর্মসংস্থানেও ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।

বিবিএস বলছে, গত এক বছরে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এক দশমিক আট ভাগ। অন্যদিকে শ্রমশক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে দুই দশমিক তিন ভাগ। এর মধ্যে পুরুষ শ্রমশক্তি বেড়েছে এক শতাংশ এবং নারী শ্রমশক্তি বেড়েছে চার দশমিক ছয় ভাগ। এক বছরে মোট ১৪ লাখ নতুন শ্রমশক্তি যোগ হয়েছে। নতুন কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার দুই দশমিক দুই ভাগ। এই হার পুরুষের ক্ষেত্রে শূন্য দশমিক সাত ভাগ এবং নারীর ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার চার দশমিক আট ভাগ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে কৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থান কমেছে দুই দশমিক আট ভাগ। শিল্প খাতে বৃদ্ধি পেয়েছে এক দশমিক আট ভাগ এবং সেবাখাতে সাত দশমিক আট ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কর্মে নিয়োজিতদের মর্যাদা অনুযায়ী তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দেশের গৃহস্থালি কাজে বিনা বেতনে কর্মে নিয়োজিতদের সংখ্যা কমে আসছে। অধিক হারে নারীরা ‘আন পেইড’ থেকে ‘পেইড’ কর্মসংস্থানে আসছে।

বৈদেশিক কর্মসংস্থানের তথ্যে দেখা যায়, দেশে ২০১৭ সালে এক বছরে দশ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

এমএ/জেডএ/আরআইপি

 

আরও পড়ুন