ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

নেপালে নিহতদের শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৫২ এএম, ১৯ মার্চ ২০১৮

নেপালে ইউএস বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ দেশে আনার পর বিকেলে সেখানেই তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

নিহতদের স্বজনদের আর্মি স্টেডিয়ামে থাকার জন্য সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া জানাজায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। এর আগে দুর্ঘটনার আটদিন পর আজ (সোমবার) সকালে নিহত ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ দূতাবাসের কাছে হস্তান্তর করে নেপাল। পরে নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসে তাদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নূর ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, নিহতদের মরদেহ বিকেল ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। এরপর আর্মি স্টেডিয়ামে নেয়া হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের শ্রদ্ধা জানাবেন।

তিনি আরও জানান, আর্মি স্টেডিয়ামে নিহতদের প্রথম জানাজা (দেশে) অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় সর্ব সাধারণরা অংশ নিতে পারবেন। এরপর মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নেপালে ইউএস বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার, শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন, এফএইচ প্রিয়ক, উম্মে সালমা, বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।

এছাড়া আরও তিন বাংলাদেশির মরদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তারা হলেন- নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামান। ডিএনএ টেস্টের পর তাদের মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ (সোমবার) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।

এইচএস/আরএস/জেআইএম

আরও পড়ুন