ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দুর্ঘটনার পর ত্রিভুবনের দুর্লভ কিছু ছবি

আদনান রহমান | প্রকাশিত: ০২:৪১ পিএম, ১৭ মার্চ ২০১৮

১২ মার্চ দুপুর আড়াইটার আগ পর্যন্ত দিনটা ছিল আর দশটা স্বাভাবিক দিনের মতো। দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চারজন ক্রু ও ৬৭ যাত্রী, সব মিলিয়ে ৭১ জন আরোহী নিয়ে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে উড়াল দেয় ইউএস বাংলার বিএস-২১১ ফ্লাইটটি।

ফ্লাইটে যাত্রী সংখ্যায় প্রায় সমান সমান ছিলেন বাংলাদেশি ও নেপালিরা। নেপালিরা ফিরছিলেন বাড়িতে আর বাংলাদেশিদের বেশিরভাগ আনন্দভ্রমণে। শুভ্র মেঘ ছুঁয়ে উড়ে যাচ্ছিল বিমানটি, হাসিমুখগুলো অপেক্ষায় ছিল বিমান থেকে অবতরণের।

ত্রিভুবন বিমানবন্দরের কাছাকাছি নির্ধারিত সময়ে পৌঁছেও যায় বিমানটি। নিয়মমাফিক তখন পাইলটের কথা হচ্ছে বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে। কোন রানওয়েতে অবতরণ করবে বিএস-২১১, তা নিয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের তথ্য আদান-প্রদান।

বিমানে থাকা ৭১ আরোহীর কেউ কি তখন ঘুনাক্ষরেও ভেবেছিলেন কয়েক মুহূর্ত পর কী ভয়াবহ পরিণতি হতে যাচ্ছে তাদের। শুভ্র মেঘ ছুঁয়ে আসা বিমানটি পুড়ে কালো হবে? অঙ্গার হবে কত জনের প্রিয়মুখগুলো? স্বপ্নের আনন্দভ্রমণ পরিণত হবে দুঃস্বপ্নের বিষাদভ্রমণে। ভেঙে খান খান হবে তিলে তিলে গড়ে তোলা স্বপ্নগুলো।

হয়তো ভেবেছেন, হয়তো ভাবেননি। তবে হয়েছে তাই-ই। নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে অবতরণ করতে গিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে যায় বিমানটি। সঙ্গে সঙ্গে ধরে যায় আগুন। বাতাসে রটে যায় খবর। এরপর নেপাল, বাংলাদেশ দু’দেশে ছোটাছুটি, আর্তনাদ, বিলাপ, কান্না।

দুর্ঘটনার পরপরই খবর সংগ্রহে বাংলাদেশ থেকে নেপালে ছুটে যান জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক আদনান রহমান। তার মারফত এই দুর্ঘটনার পরক্ষণের দুর্লভ কিছু চিত্র জাগো নিউজের হাতে এসেছে।

জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য ছবিগুলো প্রকাশ করা হলো।

 

media

এখানের অবতরণের চেষ্টা করেছিল ইউএস বাংলার বিধ্বস্ত বিমানটি। 

media

অবতরণ করতে গিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে যায় বিমান।  

media

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন নেপালের কর্মকর্তারা  

media

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন নেপালের কর্মকর্তারা 

media

এআর/এনএফ/এমএস

আরও পড়ুন