শেহরিনের টিকে থাকাটাই ‘বিশাল ব্যাপার’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় আহত শেহরিন আহমেদকে দেখে এসেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেহরিনকে দেখতে গিয়ে তার সাহসের প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (শাহরিন) এতো কিছু মধ্যেও টিকে আছেন। এটি একটি বিশাল ব্যাপার। তিনি সাহসী এবং সচেতন একজন মানুষ। তিনি দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এটা নিয়ে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, নিহতদের মরদেহ ফিরিয়ে আনতে প্রথমে কিছুটা দেরি হচ্ছিল। তাদের লোকবল সঙ্কট থাকায় ডিএনএ টেস্ট করতে দেরি হচ্ছিল। কিন্তু এখন আমাদের টিম যাওয়াতে এই সমস্যা আর নেই, দ্রুত নিহতদের মরদেহ ফিরিয়ে আনা হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী তার সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে চলে এসেছেন এবং বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। আমরা ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে দেখা করছি।
গত সোমবার (১২ মার্চ) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। শেহরিনও ভর্তি ছিলেন কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের এবং একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, মহিলা ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।
দেশে ফেরার জন্য হাসপাতাল থেকে তাকে অনাপত্তিপত্র দিলে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমানের বিজি-০০৭২ ফ্লাইটে ঢাকা ফেরেন তিনি। এরপর বিমানবন্দর থেকে তাকে সরাসরি নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে।
সাদ্দাম হোসাইন/এনএফ/এমএস