ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

অপহরণ বন্ধে হোটেলের ওপর নজরদারি বাড়ানো হবে : মনিরুল ইসলাম

প্রকাশিত: ০৮:২২ এএম, ২৫ জুলাই ২০১৫

ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার(ডিবি) মনিরুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে অপহরণের বিভিন্ন ঘটনায় মানুষকে আটকে রেখে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করা হচ্ছে। অপহরণ বন্ধে জড়িত হোটেলসহ অন্যান্য হোটেল গুলোতেও নজরদারি বাড়ানো হবে।

শনিবার বেলা ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে গত ২২ জুলাই রাজধানীর আদাবর এলাকা থেকে অপহৃত আনাম নামের এক যুবককে উদ্ধার এবং ২ জন বিকাশ এজেন্টসহ ৭ অপহরণকারীকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)।

অপহরণকারীরা হলেন, মো. শাহাদাত হোসেন, শরীফ হোসেন, নিধন চন্দ্র দাস, মো, সেলিম, হোটেল বয় আব্দুল কাদের, বিকাশ এজেন্ট মালিক নাছির উদ্দিন ও সহকারি মো. বাপ্পি। এসময় একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকার বৈশাখী হোটেল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ তাদের আটক করে ডিবি পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, ভিকটিম মোহাইমেনুল ইসলাম ওরফে আনাম বিক্রয়.কম এ সিম্ফনি এই-৫০ মডেলের একটি মোবাইল বিক্রির বিজ্ঞাপন দেয়। সেই সূত্র ধরে অপহরণকারীরা আনামকে আদাবর থানাধীন শেখেরটেক এলাকার ইসলামী ব্যাংক গলির সামনে থেকে অপহরণ করে। এরপর বৈশাখী হোটেলের ৫০১ নং কক্ষে আটকে রেখে মুক্তিপণের টাকার দাবিতে নির্যাতন শুরু করে।

আনামের বাবা ফখরুল ইসলামের মোবাইলফোনে কল দিয়ে নির্যাতনের কান্না শুনিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেয় অপহরণকারীরা। প্রথমে বাবা ফখরুল ইসলাম ৫ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করে। পরে বিষয়টি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জানালে তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশ।

এরই সূত্র ধরে অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত করে হোটেল বয় আব্দুল কাদেরকে আটক করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য সবাইকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা জানায়, তারা দীর্ঘদিন থেকে এই ধরণের কাজের সঙ্গে জড়িত। তারা ওই বৈশাখী হোটেলেই ৫/৬ জনকে আটক করে মুক্তিপণের টাকা আদায় করেছে। মুক্তিপণের টাকা আদানপ্রদানের জন্য তারা হোটেলটি পাশ্ববর্তী ১৭/২ ভবনের নিচে বিকাশের দোকানও খুলেছে তারা।

মনিরুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে অপহরণ ও নির্যাতন ও মুক্তিপণের টাকা আদায়ের জন্য হোটেলগুলোকে নিরাপদ মনে করছে অপহরণকারীরা। আগে কাউকে অপহরণকারীরা পদ্মার চড়ের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে আটকে রেখে মুক্তিপণের টাকা আদায় করতো। এখন হোটেলগুলোতে এধরণে কাজ চলছে।

ডিএমপি’র এ যুগ্ম কমিশনার বলেন, বৈশাখী হোটেল কর্তৃপক্ষ এই অপহরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপহরণের ঘটনায় অন্যান্যহোটেল গুলোতেও নজরদারি রাখা হবে।

জেইউ/এসকেডি/এমএস