ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্লেন ক্র্যাশের ভয়ে সড়কপথে দেশে ফিরতে চান স্বর্ণা

আদনান রহমান | কাঠমান্ডু থেকে | প্রকাশিত: ০৭:১৮ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৮

ইউএস-বাংলার বিমানে দুর্ঘটনার শিকার কামরুন্নাহার স্বর্ণাসহ তার পরিবারের তিন সদস্যকে বৃহস্পতিবার ছাড়পত্র দিয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার পর তাদের পাসপোর্ট খুঁজে না পাওয়ায় প্রয়োজনীয় ট্রাভেল ডকুমেন্ট তৈরি করছে নেপালে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস।

তবে ছাড়পত্র পেয়ে চিকিৎসকদের সড়ক পথে বাংলাদেশে ফেরার কথা জানিয়েছেন স্বর্ণা। কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) হাসপাতালের অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ ও বিমান দুর্ঘটনার রোগীদের কো-অর্ডিনেটর ড. রাজিভ রাজ মানান্দার জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘স্বর্ণার পরিবারের ৩ জন বিমানে ভ্রমণ করার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণে স্বর্ণা বিমানে উঠতে খুব ভয় পাচ্ছে। সে সড়কপথে বাংলাদেশে ফিরতে চাইছে। আমরা তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, তার শরীরের অবস্থা সড়কপথে ভ্রমণের উপযোগী নয়।’

তিনি আরও বলেন, তার পরিবার প্লেনের টিকিট কাটার ব্যবস্থা করছে বলে শুনেছি। টিকিট হাতে পেলে শুক্রবার তারা দেশে ফিরতে পারেন বলে আশা প্রকাশ করছি।

ড. রাজিভ বলেন, বিমান দুর্ঘটনায় কেএমসি’তে মোট ১০ জন ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক, বাকি ২ জন নেপালি। বাংলাদেশিদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হচ্ছেন, ইমরানা কবির (৩০) এবং কবির হোসেন (৫২)।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (১২ মার্চ) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।

বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।

এআর/এসএইচএস/জেআইএম

আরও পড়ুন