দেশে ফিরলেন মৃত্যুঞ্জয়ী শেহরিন
নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় আহত মৃত্যুঞ্জয়ী শেহরিন আহমেদ দেশে ফিরেছেন। নেপালের স্থানীয় সময় দেড়টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়ে বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছায় তাকে বহনকারী বিমানের বিজি-০০৭২ ফ্লাইটি।
দেশটির কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) হাতপাতাল কর্তৃপক্ষ অনাপত্তি দেয়ায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো। শেহরিন আহমেদের খালাতো ভাই ইমন জাগো নিউজকে জানান, ঢাকায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
জানা গেছে, বিমান দুর্ঘটানায় শেহরিন আহমেদের পা ভেঙে গেছে এবং শরীরের ৮ থেকে ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে। সে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজের (কেএমসি) প্ল্যাস্টিক সার্জারি অ্যান্ড বার্ন ইউনিট-৩ এ চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জাগো নিউজকে বলেন, নেপালের কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি অ্যান্ড বার্ন ইউনিট-৩ এ শেহরিন আহমেদকদের চিকিৎসা চলছিল। তার পা ভেঙে যাওয়াসহ শরীরের ৮ থেকে ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ঢামেক বার্ন ইউনিটে তার চিকিৎসার জন্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১২ মার্চ) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পরে। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।
বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, মহিলা ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।
এমইউএইচ/আরএম/আরএস/এমএস