শেহরিনের জন্য প্রস্তুত ঢামেকের আইসিইউ

নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় আহত শেহরিন আহমেদকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তাকে নিয়ে বিমানটি কাঠমান্ডু বিমানবন্দর থেকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার মধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছার কথা শেহরিন আহমেদকে বহনকারী বিজি-০০৭২ ফ্লাইটটি।

বিমানবন্দর থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হবে। এজন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঢামেকের বার্ন ইউনিটের আইসিইউ'র ৫নম্বর বেডটি। এখানে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি।

ইতোমধ্যে ঢামেক থেকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও দুজন নার্স বিমানবন্দর গেছেন অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে। তারা হলেন- বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল এবং আইসিইউ'র নার্স ফারজানা আক্তার ও মরিয়ম আক্তার।

বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ঢামেকের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের গাড়িটি বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

‘শাহরিন আহমেদকে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি অ্যান্ড বার্ন ইউনিট-৩ এ থেকে দেশে ফেরার জন্য ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তার পা ভেঙে গেছে এবং শরীরের ৮ থেকে ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে। ঢামেকে তার চিকিৎসার জন্যে আমরা এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আসার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা শুরু হবে’- বলেন সামন্ত লাল সেন।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১২ মার্চ) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।

বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের এবং একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, মহিলা ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।

শেহরিন আহমেদ ছাড়া আরও তিন বাংলাদেশিকে কেএমসি হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ অনাপত্তি দিয়েছে। তারা হলেন- মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলমুন নাহার অ্যানি।

এ বিষয়ে নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস জাগো নিউজকে জানান, আহত শেহরিন আহমেদকে আজকেই (বৃহস্পতিবার) দেশে নেয়া হচ্ছে। সময় মতো বিমান আসলে নেপাল সময় দেড়টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে। এছাড়া বাকি তিনজনের কাগজপত্র ঠিক করা হচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে তাদেরকে আগামীকাল (শুক্রবার) দেশে পাঠানো হবে।

সাদ্দাম হোসাইন/এমএআর/এমএস