কাঠমান্ডু মেডিকেলে লড়ছেন দুই বাংলাদেশি
কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) হাসপাতালের অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ ও বিমান দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের কোঅর্ডিনেটর ড. রাজিব রাজ মানান্দার বলেছেন, বিমান দুর্ঘটনায় এখানে ১০ জন ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক, বাকি ২ জন নেপালি।
এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮ বাংলাদেশির মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুর কেএমসি কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান রাজিব।
ড. রাজিব রাজ মানান্দার বলেন, বাংলাদেশিদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের একজন ইমরানা কবির (৩০)। তার ‘ইনহেলেশনাল’ ইনজুরি রয়েছে এবং তার লাং ও শ্বাসনালীতে ধোঁয়া রয়েছে। তার শরীরের উপরের অংশ, পিঠ এবং মাথা আগুনে পুড়েছে। মেডিকেলের ভাষায় তার অবস্থা, ‘ক্রিটিক্যাল আনস্টেবল (অস্থিতিশীল)’।
আশঙ্কাজনক আরেক যাত্রী হচ্ছেন কবির হোসেন (৫২)। তার দুই পায়ে, কপালে মারাত্মক আঘাত রয়েছে। তিনি ডায়াবেটিসের রোগী। মেডিকেলের ভাষায় তার অবস্থা, ‘ক্রিটিক্যালি স্টেবল।’ সবকিছু মাথায় রেখে তাকে সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নেপালিদের মধ্যে প্রিন্সি ধামী বাংলাদেশের একটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তার অবস্থাও, ‘ক্রিটিকাল আনস্টেবল’ বলে জানানো হয়েছে এই সংবাদ সম্মেলন থেকে।
তিনি আরও বলেন, আজে আমরা শেহরিনকে ছাড়পত্র দিয়েছি। তিনি ইতিমধ্যে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এ ছাড়াও মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলমুন্নাহার অ্যানি মোটামুটি সুস্থ আছেন। তারা বিমানে ভ্রমণের জন্য ফিট রয়েছেন। আহত শাহিনের অবস্থা স্থিতিশীল। তার পরিবারের সদস্যরা আজ কাঠমান্ডু আসবেন। সবকিছু দেখে তাকেও রিলিজ দেয়া হবে।
আহতদের সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা এখানে রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেএমসি হাসপাতাল সব ধরনের রোগীদের উন্নত চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
গত সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে চার ক্রু ও ৬৭ আরোহী নিয়ে বাংলাদেশি ইউএস-বাংলার বিএস-২২১ ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়। এতে অর্ধশত যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৩২ জন। এ ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২১ যাত্রী। উড়োজাহাজের যাত্রীদের মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালি, একজন মালদ্বীপ ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। এ ছাড়া দুই শিশু ছিল।
এআর/এনএফ/আরআইপি