বিমান বিধ্বস্তে জিইডির দুই নারী কর্মকর্তা মারা গেছেন
পরিকল্পনা বিভাগের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) দুই নারী কর্মকর্তা নাজিয়া আফরিন চৌধুরী ও উম্মে সালমা ইউএস-বাংলার বিমানে বিধ্বস্তে মারা গেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসুবকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রধান (বিসিএস অর্থনৈতিক ক্যাডার) আবু বকর সরকার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, শোকাহত বিসিএস ইকনমিক ক্যাডার এর ২০তম ব্যাচের নাজিয়া চৌধুরী এবং ২৫তম ব্যাচের উম্মে সালমা স্যার, ইউএস বাংলা প্লেন ক্রাসাড এ নেপাল বিমান বন্দরে মারা গেছেন...সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি মহান আল্লাহ যাতে স্যারদের কে জান্নাত নসীব করেন...(ছবিটি শাহজালাল বিমান বন্দরের sky lounge থেকে বিমানে উঠার প্রাক্কালে সবার উদ্দেশ্য দোয়া চেয়ে Facebook এ পোস্ট দিয়েছিলেন)।
এর আগে জিইডির সদস্য ড. শামসুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। নেপাল দূতাবাসে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। কিন্তু দূতাবাস এখন পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, সবশেষ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। মূলত ওই সেমিনারে আমার যোগ দেয়ার কথা ছিল। আমি যেতে পারি নাই বলে ওদের পাঠিয়েছি।
উল্লেখ্য, সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ইউএস-বাংলার বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। নেপালের স্থানীয় দৈনিক দ্য হিমালয় টাইমস বলছে, বিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় প্রাণহানির শঙ্কা প্রকাশ করেছে টিআইএ।
তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ৬৭ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ২৮ জন নারী ও দুইজন শিশু ছিলেন। কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দুই শিশুসহ ৩৩ জন বাংলাদেশি ছিলেন।
নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সুরেশ আচার্য বলেছেন, বিধ্বস্ত বিমানের ভেতর থেকে ১৭ যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টার সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
ইউএস-বাংলার এস২-এজিইউ বিমানটি ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে পৌঁছায়।
নেপাল সেনাবাহিনী ও উদ্ধারকারী টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
জেএইচ/আরআইপি