ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

৩৪ বছর পর বিমান দুর্ঘটনায় এত বাংলাদেশির প্রাণহানি!

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল | প্রকাশিত: ০৬:৫৮ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮

শোকে ভাসছে দেশ। আজ (সোমবার) নেপালের কাঠমন্ডুতে বেসরকারি বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় বহু বাংলাদেশির প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। শোকে ভাসছে দেশ। আজ (সোমবার) নেপালের কাঠমান্ডুতে বেসরকারি বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় বহু বাংলাদেশির প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

৩৪ বছর আগে ১৯৮৪ সালের ৪ আগস্ট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফকার এফ-২৭ (ফ্লাইট নাম্বার এস-২ এবিজে) তৎকালীন জিয়া আন্তজার্তিক বিমানবন্দরের অদূরে বিধ্বস্ত হয়ে ৪৯ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরছিল।

নিহতদের মধ্যে ৪৫ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলের। যাত্রীদের মধ্যে দুইজন বিদেশি ও ৪৩ জন বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন। ওই দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের প্রথম বেসামরিক নারী পাইলট কানিজ ফাতেমা রোকসানা নিহত হন।

১৯৮৪ থেকে ২০১৮ তিন দশকের বেশি সময় পর আজ (সোমবার) একই ধরনের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো। ৩৪ বছর পর বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এতো বেশি বাংলাদেশি নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের বেসরকারি ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স নেপালের কাঠমুন্ডুতে বিধ্বস্ত হয়। এয়ারলাইন্সটি ৬৭ জন যাত্রী, দুইজন পাইলট ও দুইজন কেবিন ক্রু নিয়ে বাংলাদেশ সময় ১২টা ৫১ মিনিটে নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমুন্ডু বিমানবন্দরে রানওয়েতে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। এয়ারলাইন্সটিতে আগুণ ধরে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে অদূরে একটি ফুটবল মাঠে গিয়ে পড়ে।

নিহতদের সংখ্যা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া না গেলেও অর্ধশতাধিক নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এপি বলছে, এ পর্য়ন্ত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ জাগো নিউজকে বলেন, ‘হতাহতের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। ফ্লাইটে দুই শিশুসহ ৬৭ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে পাইলট ও ক্রু ছিলেন চারজন। আরোহীদের মধ্যে ৩৩ জন বাংলাদেশি, নেপালি ৩২, একজন মালদ্বীপ এবং একজন চীনা নাগরিক ছিলেন।’
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর প্রশিক্ষণ বিমান ডিসি-৩ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলটসহ পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটে। ১৯৭৯ সালের ১৮ নভেম্বর সাভার বাজারে এফ ২৭-২০০ (এস২-এবিজি) দুর্ঘটনায় পড়লেও চারজন যাত্রীর কেউ হতাহত হয়নি।

১৯৮০ সালের ৩ এপ্রিল সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্ট থেকে ছেড়ে ১০০মিটার উচ্চতায় বিমানের ইঞ্জিন বিকল হলে বোয়িং ৭০৭-৩২০সি (ফ্লাইট এস২-এবিকিউ) রানওয়েতে ফিরে আসার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ৭৪ জন যাত্রী থাকলেও কেউ হতাহত হয়নি।

১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর এফ২৮-৪০০০ (এস২-এসইজে) ৮৯ জন ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার সময় সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে রওনা হয়। কুয়াশার কারণে সিলেট বিমানবন্দরের অদূরে জরুরি অবতরণ করে। ওই ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর এফ২৮-৪০০০ (এস২-এসইএইচ) ৭৯ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে বৃষ্টিপাতের কারণে পিচ্ছিল থাকার কারণে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

২০০৫ সালের ১ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে ডিসি১০-৩০ ইআর (এস২-এডিএন) ২১৬ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণের সময় হেলে পড়ে ও বিমানের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

২০০৭ সালের ১২মার্চ বাংলাদেশ বিমানের এ ৩১০-৩০০ (এস২-এডিই) ২৩৬ জন যাত্রী নিয়ে দুবাই বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়। এ সময় ল্যান্ডিং গিয়ার অকেজো হয়ে যাওয়ায় রানওয়ের শেষ প্রান্তে গিয়ে থেমে যায়। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। 

এমইউ/এমবিআর/এমএস