ইউএস বাংলার অফিসে যাত্রীর স্বজনদের কান্না
সময় যতই বাড়ছে রাজধানীর বারিধারায় অবস্থিত ইউএস বাংলা এয়ার লাইন্সের অফিসে নেপালগামী বিমানে থাকা যাত্রীদের স্বজনদের ভিড়ও ততই বাড়ছে। তাদের কান্নায় অফিসের পরিবেশ যেন ভারি হয়ে উঠছে।
রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার উম্মে সালমা। সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তিনি। বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়েল সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনদিনের দাফতরিক সফরে (অফিসিয়াল ট্রিপে) সোমবার ইউএস বাংলার বিমানে কাঠমান্ডু রওনা দিয়েছেন তিনি।
এরপরই আসে বিমান দুর্ঘটনার খবর। সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বারিধারারা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের অফিসে ছুটে আসেন তার বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ। বোনের জন্য আহাজারি করতে থাকনে তিনি। বোনকে জীবিত ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। শোক যেন তাকে নির্বাক করেছে।
তার সঙ্গে একই বিমানে ছিলেন সিনিয়র সহকারী প্রধান নাজিয়া আফরিন চৌধুরী।
নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিমানে পরিকল্পনা বিভাগের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের ( জিইডি) দুই নারী কর্মকর্তার থাকার কথাটি নিশ্চিত করেছেন জিইডির সদস্য ড. সামসুল আলম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। নেপাল দূতাবাসে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। কিন্তু দূতাবাস এখন পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছে না।
সরকারি এক সেমিনারে অংশ নিতে ওই দুই কর্মকর্তা নেপালে যান বলেও জানান তিনি।
সোমবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। ইউএস-বাংলা সূত্রে জানা গেছে বিমানটিতে হতাহতের বিষয়ে তারা এখনও নিশ্চিত তথ্য পায়নি। তবে ফ্লাইটটিতে ৬৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক, দুই শিশু এবং পাইলট ও ক্রু চারজন ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন বাংলাদেশি, ১ জন মালদ্বীপের নাগরিক, ১ জন চাইনিজ বাকিরা নেপালের যাত্রী।’
সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২ টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
নেপালের স্থানীয় দৈনিক দ্য হিমালয় টাইমস বলছে, বিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানির শঙ্কা প্রকাশ করেছে টিআইএ।
এআর/এসএইচএস/আরআইপি