ছোট্ট জোনাকীকে বাঁচানো গেল না
পারিবারিক কলহে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে শিশু সন্তান জোনাকীসহ (৪) বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন আবুল হোসেন (৩২) নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় তিনি বেঁচে গেলেও মারা গেছে একমাত্র সন্তান শিশু জোনাকী। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার টালিভাংগা গ্রামে বিষপানের এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে স্ত্রী পাপিয়ার সঙ্গে কলহের জের ধরে আবুল হোসেন একমাত্র কন্যা জোনাকীকে নিয়ে বিষপান করে। পরে স্বজনরা তাদের দু’জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে রাত ১০ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনলে সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় শিশু সন্তান জোনাকী মারা যায়।
আবুল হোসেনের ভাই রমজান মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার ভাই বছর চারেক আগে পাপিয়াকে ভালোবেসে বিয়ে করে। মেয়ের পরিবার ধনী হওয়ায় তারা এ বিয়ে মেনে নেয়নি। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। এক সপ্তাহ আগে ঝগড়া করে পাপিয়া বাপের বাড়ি চলে যায়। সেখান থেকে এক সপ্তাহ পরও না আসায় আমার ভাই তাকে আনতে গেলে পাপিয়ার বাবা সুরুজ মিয়া মেয়েকে আর আসতে দেবে না বলে জানিয়ে দেয়’।
তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমার বোন, বাবা, মামা, এক খালা ও আমি তাদের বাড়ি গেলে সুরুজ মিয়া জানান মেয়ে যদি আমাদের বাড়ি আসে তাহলে আর বাপের বাড়ি যেতে পারবে না। এটা শুনে আমরা ফিরে আসি। এ অবস্থায় শিশু জোনাকী মায়ের জন্য বারবার কান্না করায় শুক্রবার সকালে তাকে পাপিয়ার কাছে দিয়ে আসি। কিন্তু তারা শিশুটিকে না রেখে বিকেলে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেয় । এ কারণে আবুল হোসেন একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বিষপান করে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলো। পরে আমরা তাদেরকে স্থানীয় এক ডাক্তারের কাছে নিলে তিনি আমাদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসতে বলেন’।
ঢামেকের পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, রাত দশটার দিকে বাবা-মেয়েকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হলে আধা ঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটি মারা যায়; বাবা এখনও চিকিৎসাধীন আছেন। ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
সাদ্দাম হোসাইন/এমএমজেড/এমএস