ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ইয়াবার সিন্ডিকেটে অ্যাডভোকেট মেম্বার সাংবাদিক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:১৭ এএম, ০৬ মার্চ ২০১৮

কক্সবাজারের মেরিন প্লাজা হোটেলের মালিক তিনি। বাড়িও সেখানে। কিন্তু ‘ইয়াবা ব্যবসার’ সূত্র ধরে থাকেন রাজধানীর উত্তরায়। মাহমুদুল হকের (৫১) এই ইয়াবা ব্যবসার সিন্ডিকেটে জড়িয়েছেন আইনজীবী, সাংবাদিক ও ইউপি সদস্যও। নিজ নিজ পদের ক্ষমতা ব্যবহার করে তারা ইয়াবা ব্যবসায় চালিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি তাদের আটকের পর এমন জানিয়েছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চলের তত্বাবধানে পৃথক তিনটি টিম সাঁড়াশী অভিযান চালিয়ে রাজধানীর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মরণী, সেগুনবাগিচা, কোনাপাড়া, কমলাপুর ও উত্তরা এলাকায় থেকে ৭ জনকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৮ হাজার ৮শ’ পিস ইয়াবা ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চলের উপ-পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি চৌকষ টিম গত রোববার (৪ মার্চ) বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। অভিযানে ২৭ হাজার ২শ’ পিস ইয়াবাসহ কক্সবাজারের টেকনাফের সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার এনামুল্লাহ (৩১), কক্সবাজার মেরিন প্লাজা হোটেলের মালিক মাহমুদুল হক (৫১), কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী আসাদুজ্জামান বাবুলকে (৪১) আটক করা হয়।

তিনি আরও জানান, আটকরা একটি শক্তিশালী ইয়াবা সিন্ডিকেটের সদস্য। তারা নিজেদের পদের ক্ষমতা ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে ইয়াবার চালান রাজধানীতে নিয়ে এসে পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করত। ওয়ার্ড মেম্বার এনামুল্লাহ ও কক্সবাজার মেরিন প্লাজা হোটেলের মালিক মাহমুদুল হক বেশির ভাগ সময় উত্তরাতে অবস্থান করতেন। নিজেরা উপস্থিত থেকে ইয়াবার ব্যবসা দেখভাল করতেন। বিমানযোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যাতায়াত করতেন তারা।

মুকুল জ্যোতি চাকমা বলেন, চক্রটির সম্পর্কে তথ্য ছিল কিন্তু অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত অধিদফতরের সদস্যরা গোয়েন্দা নজরদারী চালিয়ে ইয়াবাসহ পুরো চক্রটিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় খিলগাঁও সার্কেলের পরিদর্শক, মো. সুমনুর রহমান বাদি হয়ে শাহবাগ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ খোরশিদ আলম বলেন, গোয়েন্দা তথ্য মতে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১৪নং সেক্টরস্থ ১৩নং রোডের হানিফ মেম্বারের বাড়িটি ইয়াবার সিন্ডিকেটের আস্তানা। সেখানে পৃথক অভিযান চালিয়ে আবু হানিফ ওরফে হানিফ মেম্বার, ইকবাল হোসেন ও অ্যাডভোকেট মো. আশরাফুল আলম ওরফে প্রিন্সকে এক হাজার পিস ইয়াবা ও একটি প্রাইভেটকারসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।

অপর একটি টিম রাজধানীর কমলাপুরস্থ হোটেল সিটি প্যালেসের ৩৭নং কক্ষে অভিযান চালিয়ে ৬০০ পিস ইয়াবাসহ মুজিব (২২) নামে টেকনাফের বাসিন্দাকে আটক করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছেন, কক্সবাজার থেকে মাসে কয়েকবার ইয়াবার চালান নিয়ে এসে রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করে ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে তা সরবরাহ করত। মুজিব হোটেল কেন্দ্রিক ইয়াবা সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য।

মুজিবকে গ্রেফতার দেখিয়ে মতিঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

জেইউ/আরএস/জেআইএম

আরও পড়ুন