ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ছাত্রদের শান্ত থাকতে বললেন জাফর ইকবাল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:০৩ পিএম, ০৪ মার্চ ২০১৮

সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী ইয়াসমিন হককে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, ছাত্রদের শান্ত থাকতে বলো, ওরা যেন কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি না করে।

রোববার সকালে সিএমএইচে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের একথা জানান ড. ইয়াসমিন হক।

তিনি বলেন, হামলার পর জাফর ইকবাল নিজেই আমাকে ফোন দেন। তিনি আমাকে বলেন, ‘আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমি সুস্থ আছি, হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। আমি চাই না আমার ওপর হামলার সংবাদ তুমি টেলিভিশন দেখে জানো, তাই ফোন করলাম। অনেক ব্লিডিং (রক্তক্ষরণ) হচ্ছে। পরে যদি কথা না বলতে পারি তাই এখন ফোন দিলাম। আমি কপ্লিটলি (সম্পূর্ণভাবে) ভালো আছি।’ আমি জিজ্ঞেস করি তোমার কি খুব ব্যথা হচ্ছে? উত্তরে তিনি বলেন, বেশি না। এখন একটু একটু আরম্ভ হয়েছে।

ইয়াসমিন হক বলেন, সিলেটের ওসমানী হাসপাতাল থেকে তাকে যখন সিএমএইচে নেয়া হচ্ছিল তখন হাসপাতালের বাইরে অনেক শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়েছিল। তারা হামলার প্রতিবাদ করছিল। জাফর ইকবাল এসব দেখে ফেলেন। ঢাকায় এসে যখন তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয় তখন তিনি আমাকে কাছে ডেকে বলেন, ‘আমার শিক্ষার্থীদের বলে দিও আমি কমফোর্টেবল আছি। তারা যেন কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি না করে। ওদের সান্ত্বনা দাও। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

পুলিশি নিরাপত্তার ঘাটতির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইয়াসমিন বলেন, গত ২ বছর ধরে পুলিশ ২৪ ঘণ্টা আমাদের সঙ্গে থাকছে। বরং প্রায় ড. জাফর ইকবাল তাদের চলে যেতে বলেন। এ ঘটনায় আমরা কোনোভাবেই পুলিশ ও সরকারকে ব্লেম (দায়ী) করবো না।

ড. জাফর ইকবালকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্ত্রী বলেন, আমি ১৮ বছর দেশের বাইরে ছিলাম, বাইরে গেলেই যে ভালো চিকিৎসা হয় এ ধারণা ঠিক না। আমাদের দেশের মেডিকেল সিস্টেমের ওপর আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে।

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. ইয়াসমিন হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন জায়গায় ফোন দিয়ে চিকিৎসার সবকিছুর অ্যারেঞ্জ (ব্যবস্থা) করেছেন। এজন্য আমি তাকে ধনযবাদ জানাতে চাই। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাবি ক্যাম্পাসে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই অধ্যাপক জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত করে ফয়জুর রহমান ফজলু নামে এক যুবক। ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) আনা হয় তাকে।

শনিবার রাতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মুরশেদ আহমেদ জানান, জাফর ইকবাল শঙ্কামুক্ত। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ডি এ হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, জাফর ইকবালের মাথা, বাম হাত ও পিঠে ৩৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে তার মাথায় ২৬টি, বাম হাতে ৬টি এবং পিঠের বাম পাশে আরও ৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে।

এআর/এনএফ/এমএস

আরও পড়ুন