ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

৬ মাসে ৩৫১ নারী ধর্ষণের শিকার, ২২৬ জনকে হত্যা

প্রকাশিত: ০১:০৮ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৫

দেশে নারী নির্যাতনের ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেছেন, গত ৬ মাসে ৩৫১ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ২২৬ জন নারীকে হত্যা করা হয় এবং তার মধ্য থেকে ১০০ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকার সাভারে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা গৃহবধূ সুখীর চোখ উৎপাটনের বর্বর ঘটনা, সহিংসতা ও ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ‘পরিবার ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করতে হবে’ স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আয়শা খানম এসব কথা বলেন।

আয়শা খানম বলেন, নারীকে রক্ষা করতে করতে হলে নারীর প্রতি সহিংতা প্রতিরোধ করতে হলে ঘরে ঘরে আমাদের দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। দেশে নারীর প্রতি যে সহিংসতা চলছে তার ৯৫ শতাংশ পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে হয়ে থাকে। যে পরিবার আমাদের শান্তির স্থান সেই পরিবারেই নারী সবচেয়ে অরক্ষিত। পরিবার, রাষ্ট্র ও সমাজের কাছে প্রশ্ন, আমরা কি এখনো মানুষ আছি, আমাদের মধ্যে কি মনুষ্যত্ববোধ আছে?  
 
সুখীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে শুধু কয়েকজন পুরুষই নয় একজন নারীও এই বর্বর ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত। কিভাবে একজন নারী হয়ে নারীর প্রতি এই ঘৃণ্য কাজ করতে পারে। তাই আজ আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলছে। এর অর্থ হচ্ছে সমাজের এখনো বিবেক জাগ্রত হয়নি। সুখীর স্বামী রবিউলের প্রচলিত আইন সমূহের অধীনে উপযুক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
 
সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের প্রতিটি সাংসদ যদি নিজের এলাকাকে নারী নির্যাতনমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন তাহলে এদেশ অবশ্যই নারী নির্যাতনমুক্ত হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ৪৪ বছর ধরে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করতে হলে পরিবার ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা প্রয়োজন।

এসময় পরিবারে নারীর প্রতি সহিংস আচরণ বন্ধ করে, নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংস আচরণের বিরুদ্ধে সমাজকে আরো এগিয়ে আসা, দোষীদের দ্রুত প্রচলিত আইনের আওতায় এনে বিচার সুনিশ্চিত করা, পরিবারে-পরিবারে, এলাকায়-এলাকায় নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলার আহ্বান জানান তিনি।
 
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের ডিরেক্টর-লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড লবি অ্যাড. মাকছুদা আখতার, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, রেখা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ ও সীমা মেসালেম, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম, সংগঠন সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম, আন্দোলন সম্পদক কাজী সুফিয়া আখতার, অর্থ সম্পাদক দিল আফরোজ বেগম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক রেখা সাহা, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রীনা আহমদ, প্রকাশনা সম্পাদক সারাবান তহুরা, রোকেয়া সদন সম্পাদক নাসরিন মনসুর, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঢাকা মহানগর কমিটির সংগঠক ও ঘটনার শিকার সুখীর মেয়ে লুবনা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
 
মানবন্ধনটি পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. দিপ্তী রানি শিকদার।
 
এসআই/এসএইচএস/এমআরআই