জনগণ চায় দৃশ্যমান উন্নয়ন
অঙ্ক কষে কষে আমরা অনেক কিছু দেখাতে পারি। কিন্ত জনগণ দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতগুলোর কী অবস্থা তা সবাই জানেন। অর্থনীতিতে ধ্স নেমেছে। শেয়ারবাজারে ধ্স নেমেছে।
অর্থমন্ত্রীর মতো এ রকম যোগ্য মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ব্যাংকে এত বড় ধরনের ধ্স নামলো কেন? শিক্ষাখাত ও শেয়ারবাজার দেশের জনগণের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গুরুত্বসহকারে এ বিষয়গুলোর সমাধান করতে হবে।
বুধবার দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সংসদ পরিচালনা করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বেশিরভাগ এমপি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, দেশে কিছু কিছু বিষয়ে সমস্যা আছে। প্রধানমন্ত্রীর একার পক্ষে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। তারপরও উনি যে চেষ্টা করছেন এটা যদি জনগণ জানতে পারে তাহলে তারা শান্তি পায়। আমাদের দেশের মানুষের চাহিদা অনেক কম। কিন্তু আমরা কি সেটা পূরণ করতে পারছি? চালের দাম বেশি। এর সঙ্গে মাছ, মাংসের দামও অনেক বেশি। ভাতের সঙ্গে আলু ভর্তা খেতে পারে। কিন্তু ভর্তা দিয়ে কতদিন খাবে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ শান্তি চায়। শান্তিতে থাকতে চায়। আমাদের সেই শান্তি দিতে হবে। এটা করতে হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে। জনগণের কাজ নেই বলে দেশে মাদকের বিস্তার লাভ করছে বেশি। তরুণ প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এটা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে। জাতীয় পর্যায়ে এটি বড় ধরনের দুর্যোগ বলে মনে করি। দেশের সমস্যাগুলো যদি চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধান করা যায় তাহলে আমরা এখনই উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা অতি গুরুত্বপূর্ণ খাত। সেখানে দেখেন কীভাবে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা আছে। শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে অনেক কম অনুদান দেয়া হয়। উদাসীন থাকলে শিক্ষার উন্নয়ন হবে না। প্রশ্ন ফাঁস লেগেই আছে।
এ ধরনের অবস্থা দেশে বারবার কেন হচ্ছে। অনেকে প্রশ্ন করে শিক্ষাখাতে যদি এ অবস্থা হয় তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কী হবে। এটা বন্ধ হবে কবে? সরকার কেন এটা বন্ধ করতে পারছে না? এখানে শিক্ষামন্ত্রীকে যদি এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় উনি কি জবাব দেবেন? সরকার যদি এক্ষেত্রে না পারে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দিয়ে চেষ্টা করতে পারে। তারা কি এটা পারবে না? সাধারণ লোক তো প্রশ্ন ফাঁস করে না। যারা প্রশ্নপত্র তৈরি করে তারাই ফাঁস করছে।
এইচএস/এমআরএম/এমএস