পাবলিক বাসের জন্য পৃথক লেনের দাবি
রাজধানী ঢাকায় পৃথক লেনে গণপরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।
সংগঠনটি বলছে, প্রাথমিকভাবে ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে স্থানান্তরযোগ্য ডিভাইডার দিয়ে পাবলিক বাসের জন্য পৃথক লেন তৈরি করতে হবে। এই লেনে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিন, আইন-শৃংখলা বাহিনীর গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন যাতে প্রবেশ করতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই অতিরিক্ত মানুষের বসবাসের এই শহরে চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্য আসবে।
শনিবার রাজধানী কলাবাগানে পবা’র কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এমন দাবি জানানো হয়। ‘পৃথক লেনে পাবলিক বাস-প্রস্তাবিত ভিআইপি লেনের প্রয়োজনীয়তা ও যৌক্তিকতা’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, নিউইয়র্ক, লন্ডনসহ বিশ্বের ১৪টি বড় বড় শহরে পৃথক লেনে গণপরিবহন চলাচলের উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ঢাকা শহরে পৃথক একটি লেনে গণপরিবহন চলাচল করার ব্যবস্থা করতে হবে। এটি করা গেলে কম সময়ে অধিক যাত্রী নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।
তারা বলেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৪ হাজার পাবলিক বাস নামানো পরিকল্পনা নিয়েছে। বিআরটিসি ৪০০ বাস কেনার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। কিন্তু বিদ্যমান সড়কে প্রাইভেট গাড়ির জটের কারণে এসব অতিরিক্ত পরিবহনও জনগণের কাঙ্খিত সেবা দিতে পারবে না। তাই এখনই ঢাকায় গণপরিবহন চলাচলের জন্য পৃথক লেন তৈরির পরিকল্পনা প্রয়োজন।
এ সময় আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- যাত্রীর যাতায়াত সম্পর্কে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হলে গণপরিবহনের ব্যবস্থাপনা সহজতর হবে। বর্তমানে মোবাইল ফ্রিকোয়েন্সি বিশ্লেষণ করে বা মোবাইলে অ্যাপসের মাধ্যেমে যাত্রীদের যাতায়াতের চাহিদা নিরূপণ করা সম্ভব। রেল ও নৌ-পথের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিআরটিসির বাস পরিচালনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ। ঢাকার প্রধান সড়কগুলোতে প্রাথমিকভাবে স্থানান্তরযোগ্য ডিভাইডার দিয়ে বাসের জন্য পৃথক লেন তৈরি ইত্যাদি।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান, যুগ্ম সম্পাদক লেলিন চৌধুরী, সদস্য মাহমুদুল আলন তাহিম, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, পরিবেশবাদী সংগঠন নোঙরের সভাপতি শামসুজ্জামান প্রমুখ।
এএস/এমবিআর/পিআর