ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

২২ মার্চ শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৩৮ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

স্বল্পোন্নত (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীতের ঘোষণা উপলক্ষে আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। একই সঙ্গে ওই দিন থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সেবা সপ্তাহসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের বিষয়টি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আগামী ১৬ থেকে ১৮ মার্চের মধ্যে যেকোনো দিন জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতিপত্র দিতে পারে বলে জানা গেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতে যে তিনটি সূচক রয়েছে, সবগুলো সূচকেই আমরা এগিয়ে আছি। আমরা মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে এগিয়ে। এজন্য উন্নয়নশীল দেশে যেতে আর কোনো বাধা নেই। এখন মার্চ মাসে একটি ডিক্লারেশন হবে।’

একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘সেই কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে আমরা কীভাবে সেদিনটিতে র্যালি করব, কীভাবে উদযাপন করব। কী সেবা সেই দিন আমরা দেব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের বিষয়টি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করবে। যেদিন ঘোষিত (উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে) হবে সেই দিন থেকে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে আনন্দ মিছিল করবে সারা বাংলাদেশ।’

‘২২ মার্চ আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে একটি সংবর্ধনা দেব। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে এবং সারাদেশে র্যালি করব। একটি সেবা সপ্তাহ আমরা পালন করব। সবকিছুই হবে সেই দিনটিকে রিমার্ক্যাবল (স্মরণীয়) করে রাখার জন্য।’

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। সারা বাংলাদেশে প্রত্যেক জেলাতেই উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের উদযাপন হবে বলেও জানান তিনি।

২২ তারিখ থেকে সেবা সপ্তাহ শুরু হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘(সেবা সপ্তাহের অনুষ্ঠানে) ডিসপ্লে থাকবে, আমরা কী করছি সেটা জানানোর জন্য। স্ব স্ব মন্ত্রণালয়...যেমন আমাদের মন্ত্রণালয় বিভিন্ন জায়গায় কী করছি, কীভাবে আরও সেবা দিতে পারি সেগুলো থ্রো করব। শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয়, সব মন্ত্রণায়ই এটা করবে।’

আনন্দ-উদযাপনে কোন বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা, মারামারি এখন এদেশের মানুষই রুখে দিচ্ছে। বিশৃঙ্খলার প্রশ্নই আসে না। কারণ সেটা আনন্দের দিন, সারাদেশের মানুষ আনন্দ উৎসব করবে সেখানে বিশৃঙ্খলার প্রশ্নই আসে না।’

উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের আগামীর পরিকল্পনা কী, আমাদের আরও কি করার আছে- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পুলিশ বাহিনী বলেন আর নিরাপত্তা বাহিনী বলেন, সবকিছুতেই কিন্তু একটা ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এটা কিন্ত আপনারা লক্ষ্য করেছেন। ডেভেলপিং কান্ট্রির জন্য কী প্রয়োজন আমরা কিন্তু অটোমেটিক সেই জায়গায় চলে গিয়েছি। এখন শুধু ডিক্লারেশনটাই বাকি, সেটাই এখন হবে।’

বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে অভিযুক্ত অনেকে এখনও পলাতক- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া, যারা কনভিকটেড হয়েছে বা পালিয়ে আছে, তাদের খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এখানে আমাদের সবাই কাজ করছে।’

সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পটোয়ারী, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/এনএফ/পিআর

আরও পড়ুন