ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

তৃতীয় দফায় দেশে ফিরলেন আরো ১৫৫ বাংলাদেশি

প্রকাশিত: ১০:৩৪ এএম, ২২ জুলাই ২০১৫

মিয়ানমারের জলসীমায় উদ্ধার হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশী আরো ১৫৫ বাংলাদেশিকে অবশেষে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম জিরো পয়েন্টে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে তাদের হস্তান্তর করে মিয়ানমার ইমিগ্রেশন বিভাগ।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কক্সবাজার-১৭ ব্যাটালিয়নের একটি সূত্র জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে বেলা পৌনে ১১টায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম জিরো পয়েন্টে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢেকুবনিয়া বিজিপি ক্যাম্পে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে এক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের ১৬ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবির ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রবিউল ইসলাম।

অপরদিকে, মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিপির ১নং সেক্টরের অধিনায়ক লে. কর্নেল ক্যাই তুই য্যা।

কক্সবাজার-১৭ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রবিউল হাসান জানান, বিভিন্ন সময় বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশী অনেককেই উদ্ধার করে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে আরো ১৫৫ জনকে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করা হয়।

বিগত মাসগুলোতে ফেরত আনা অন্যদের মত তাদেরও স্বদেশে ফেরত আনতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সঙ্গে কথা হয়েছিল। আর সে অনুযায়ী প্রায় দুই মাস পর বিজিপির সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের ফেরত আনা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, গত ২৯ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে ভাসমান অবস্থায় দেশটির নৌ-বাহিনী ৭২৭ জন অভিবাসী প্রত্যাশীদের উদ্ধার করে। এদের মধ্যে শনাক্ত করে আরো ১৫৫ জনকে ফেরত আনা হয়েছে।

এর আগে গত ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ২০৮ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে মিয়ানমার। তাদের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করে ৮ জুন ১৫০ জনকে এবং ১৯ জুন ৩৭ জনকে ফেরত আনা হয়। তারা অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন।

সায়ীদ আলমগীর/এআরএ/আরআই