জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে ইন্টার্ন নারী চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইন্টার্ন নারী চিকিৎসককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানটির ইন্টার্ন চিকিৎসক তাবাসসুম (২৫) এ অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় আজ (মঙ্গলবার) থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তবে ডা. জাফরুল্লাহ বলছেন, এটি একটি অহেতুক ও বানোয়াট অভিযোগ।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলছেন, একজন নারী প্রশিক্ষণার্থী (ইন্টার্নি) চিকিৎসক শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত ও লাঞ্চিত হয়েছেন। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি পালন করব। পরবর্তীতে মানববন্ধনসহ অন্যান্য কর্মসূচিও দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে ডা. তাবাসসুম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ধানমন্ডির ৬ এ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ডিউটি শেষ করে আমি নারী চিকিৎসকদের জন্য বরাদ্দকৃত ৩০২ নং কক্ষে বাসায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যার বিনা অনুমতিতে দরজায় নক না করে কক্ষে প্রবেশ করেন। যা একেবারেই অনভিপ্রেত।’
তিনি আরও বলেন, ‘তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে আমাকে গালিগালাজ শুরু করেন এবং গায়ে হাত তুলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জাফরুল্লাহ স্যার রুম ত্যাগ করেন।’
ওই ঘটনার পর থেকে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিবাদে তারা কর্মবিরতিসহ নানা কর্মসূচি দিতে যাচ্ছেন।
ডা. তাবাসসুমের সহকর্মীদের দাবি, ঠোটে লিপস্টিক লাগিয়ে ডিউটিতে আসার কারণ দেখিয়ে চেয়ারম্যান (জাফরুল্লাহ) স্যার এমন আচরণ করেছেন। চুক্তি অনুসারে কর্তব্যরত অবস্থায় কোনো রকম প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু তিনি (তাবাসসুম) ডিউটি শেষ হওয়ার পরে ওই প্রসাধনী (লিপস্টিক) ব্যবহার করেছেন। কেননা ডিউটি শেষ হওয়ার পর সিভিল ড্রেসে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন।
তারা আরও বলেন, কোনোভাবেই উনি (ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী) বিনা অনুমতিতে নারী কক্ষে প্রবেশের অধিকার রাখেন না। শুধু তা’ই নয়, তিনি একজন নারী চিকিৎসকের গায়েও হাত তুলেছেন। যেটা কোনোভাবেই মানা যায় না।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। জাগো নিউজের কাছে তিনি বলেন, ‘এটি একটি অহেতুক অভিযোগ, বানোয়াট। কিছু যখন বলতে পারে না তখন তারা (ইন্টার্ন চিকিৎসক) এমন অভিযোগ নিয়ে আসছে।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় কেউ বকা দিতে পারে, তার মানে এই নয় যে, গায়ে হাত দিয়েছে। ওই মেয়ে প্রসাধনী (লিপস্টিক) ব্যবহার করায় বকা দেওয়া হয়েছে।’
উল্টো প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ‘বিনা কারণে একজন মানুষ আরেক জনের গায়ে কেন হাত তুলবে?’
এমএ/আরএস/এমএস