সৌন্দর্য রক্ষায় ‘স্থায়ী দোকান’ থাকছে না হাতিরঝিলে
রাজধানীর হাতিরঝিলে সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা স্থায়ী দোকান উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি প্রকল্পের এক সমন্বয় সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে দর্শনার্থীদের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে সীমিত সংখ্যক হালকা খাবার ও পানিয়ের ভ্রাম্যমাণ দোকান রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হাতিরঝিলে দোকানপাট বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক জামাল আকতার জাগো নিউজকে বলেছিলেন, হাতিরঝিলের দোকান বিষয়ে চলতি সপ্তাহে একটি সভা হবে। সেখানে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেই সভায় প্রকল্প পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। সভায় হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা স্থায়ী রেস্তোরাঁগুলো উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এর আগে ‘বাড়তি দোকানে নষ্ট হচ্ছে হাতিরঝিলের সৌন্দর্য’ শিরোনামে জাগো নিউজে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, রাজধানীর দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলের যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে দোকানপাট। এ প্রকল্পের মূল পরিকল্পনায় তিন থেকে চারটি অস্থায়ী তথা ভ্রাম্যমাণ দোকান বরাদ্দ দেয়ার কথা ছিল। এখন বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৯টি দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব দোকান বরাদ্দের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি জায়গা দখল করে রেখেছে।
এদিকে সভায় হাতিরঝিলে সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা স্থায়ী দোকান উচ্ছেদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সভায় এমন সিদ্ধান্তের আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস (প্রকল্প ও ডিজাইন)।
সভা সূত্রে জানা গেছে, মূল নকশায় না থাকলেও হাতিরঝিলে আসা দর্শনার্থীদের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রাথমিকভাবে কিছু ভ্রাম্যমাণ দোকান বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের বাইরে বেশ কিছু স্থায়ী দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে হাতিরঝিলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য বিনষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সার্বিক পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় হাতিরঝিলের নান্দনিক সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রাখতে স্থায়ী দোকানগুলো উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়।
এএস/আরএস/এমএস