ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘ওনারা কী বললেন, তাতে কিছু আসে যায় না’

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৩৯ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের কপি পাওয়া নিয়ে বিএনপির নানা অভিযোগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘ওনারা (বিএনপি নেতারা) কী বললেন, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। ব্যাপারটা হচ্ছে আমরা আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটাচ্ছি কি-না!’

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক এবং ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সিপো’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এখনও রায়ের সার্টিফাইড কপি পাননি। বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ অভিযোগ করেছেন, সরকার রায়ের কপি নিয়ে ছলচাতুরী করছে। বিলম্ব করছে কপি দিতে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘উনি অনেক কিছু অভিযোগ করতে পারেন। উনি তো আইনই মানেন না। উনাদের অভিযোগে কিছু আসে যায় না। মওদুদ আহমেদ আইনমন্ত্রী থাকার সময় আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার পাইনি। মওদুদ আহমেদ সাহেব সরকার থাকাকালীন ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করার কোনো পদক্ষেপ নেননি। মওদুদ আহমেদ সাহেব সরকারে থাকাকালীন দেখেছি ফারুক রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে। ফারুক হচ্ছে আত্মস্বীকৃত বঙ্গবন্ধুর খুনি।’

তিনি বলেন, ‘তাই ওনারা কী বললেন তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। ব্যাপারটা হচ্ছে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটাচ্ছি কি-না। আমরা আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটায়নি। এ ব্যাপারটা সম্পূর্ণ স্বাধীন বিচার বিভাগের আদালতের এখতিয়ার। তিনি কখন রায়ের কপি দেবেন কী দেবেন না। রায়ের কপি প্রস্তুত হলে নিশ্চয়ই দেবেন। না দেয়ার তো কোনো কারণ নেই, কারণ তিনি রায়টা দিয়েছেন। তিনিও নিশ্চয়ই জানেন এটা আপিল হবে। সেই ক্ষেত্রে এটা তার ব্যাপার।’

‘আমি দূর থেকে আইনজীবী হিসেবে এটুকু বুঝি ৬৩২ পাতা তৈরি করতে একটু সময় লাগে। রিজিন্যাবল (যৌক্তিক) টাইম যদি নেয়, আনরিজিন্যাবল (অযৌক্তিক) টাইম যদি নেয়, সেখানে আমি বলব নেয়া উচিত নয়। রিজিন্যাবল টাইম যদি নেয় সেটা তো তাকে দিতে হবে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি নেতারা) যে বক্তব্য দিচ্ছেন সেটা হচ্ছে তাদের কল্পনাপ্রসূত বক্তব্য এবং সর্বৈব মিথ্যা।’

ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘উনি অ্যান্টি ডিসক্রিমিনেশন অ্যাক্ট, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, হিউম্যান রাইটস কমিশন ও শিশুদের অধিকার, ডমেস্টিক ভায়োলেন্স, সাক্ষী সুরক্ষা আইন সম্বন্ধে আলাপ-আলোচনা করেছেন। আমরা কী করছি সেটাও তাকে অবহিত করেছি। এসব প্রস্তুতির সময় অভিজ্ঞতার কোনো ব্যাপার দরকার হয়, তাহলে ইউএনডিপি আমাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে উনি বলেছেন, এটা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। আমি বলেছি যারা এ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে ধারা নিয়ে বলছেন, সেটা তাদের বিরুদ্ধে কিছু করার জন্য নয়।’

আরএমএম/জেএইচ/আরআইপি

আরও পড়ুন