প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পদক পাচ্ছেন ৪০ কোস্টগার্ড কর্মকর্তা-কর্মচারী
কোস্টগার্ডের উন্নয়ন ও অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২২ কর্মকর্তা, ১৬ নাবিক এবং দুই বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী পদক পাচ্ছেন। বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পদক, প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড পদক, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড (সেবা) পদক ও প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড (সেবা) নামে চার ক্যাটাগরিতে এই পদক দেয়া হচ্ছে।
সমুদ্র ও নৌ-সীমার নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীর ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)। এদিন আগারগাঁওস্থ সদর দফতরে কোস্টগার্ডের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার প্রদান করবেন। একই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন। এছাড়া সামরিক ও বেসামরিক অতিথিবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
কোস্টগার্ড সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ন্যায় ৭১০ কি.মি. দীর্ঘ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় জীবন ও সম্পদ রক্ষাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বদা নিয়োজিত। ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের দেশপ্রেমিক নাবিকরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বসমূহ পালন করে আসছেন। বর্তমান সরকারের আমলে ষষ্ঠবারের মতো চার ক্যাটাগরিতে কোস্টগার্ড সদস্যদের পদক দেয়া হচ্ছে। নিম্নোক্তদের এবার পদক দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পদক পাচ্ছেন যারা
৬৮১ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, ৭৮৫ ক্যাপ্টেন এম মোসায়েদ হোসেন(ট্যাজ), ৯৪৮ কমান্ডার মোস্তফা কামাল রশীদ, ২০৬৫ লে. কমান্ডার এম ওমর ফারুক, ২০৯৭ লে. কমান্ডার আব্দুলাহ আল মারুফ (এনডি), ২১৭০ লে. কমান্ডার এম ফরিদুজ্জামান খান (এক্স), ২১১৬ লে. এম সেলিম বিশ্বাস (এসডি), ৯২০২৯৮ এম বাদল শিকদার, ২০০৪০৪৬৪ এম জাহাঙ্গীর আলম, এলআরও ও ২০০৬০৩০১ এম মজিবর রহমান।
প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড পদক পাচ্ছেন যারা
১২৫৬ কমান্ডার এম জামাল উদ্দিন চৌধুরী, ১৪৫৯ লে. কমান্ডার জুলহাস ফয়সাল, ২০৮৫ লে. কমান্ডার তাসকীন রেজা, ২১৫০ লে. কমান্ডার সৈয়দ সাজ্জাদুর রহমান, ২১৯৯ এন ইউ এম খালিদ, ৯৫০২৮১ এম মোক্তার হোসেন, ৯৫০৪৩৯ এম সাইফুল আবছার, ৯৯০৩৩৯ এম তছলিম উদ্দিন, ২০০১০১২৫ এম মশিউর রহমান ও ২০১০০৫৪৯ এম মানিকুজ্জামান।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড (সেবা) পদক পাচ্ছেন যারা
২৭৩ ক্যাপ্টেন আখতার হাবীব (বর্তমান পদবি রিয়ার অ্যাডমিরাল), ৭৯০ ক্যাপ্টেন এ কে এম শেরাফুল্লাহ, ৭৯১ ক্যাপ্টেন এম মামুনুর রশীদ, ৬৩৮ কমান্ডার এম কামরুল হাছান, ২০০৯ লে. কমান্ডার খোইরোম লেইশেম, ২০৭৭ লে. কমান্ডার এম ইমরান হোসেন খান, ৮৯০০১৪ এম এ কে আজাদ, ২০০৮০৯১০ এম এ মান্নান, ২০০১০০৭২ মো. মোরশেদুল হক, ৯৫০০১ এস এম রওশন আলম (স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর)।
প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড (সেবা) পদক পাচ্ছেন যারা
১০৪৯ কমান্ডার এম ফজলুল কাদের, ৯৪৫ লে. কমান্ডার মোহাম্মাদ আলী, ২৪১১ লে. কমান্ডার এ আর আল-আমিন, ১৭৯৩ লে. কমান্ডার এম খলিলুর রহমান, সিজিঅসা-০০১ এম মনোয়ার হোসেন (আইন কর্মকর্তা), ৮৩০২৮১ ভোলানাথ চন্দ, ৯৬০৩৬৪ কনক বড়ুয়া, ৯৯০৫২৭ রফিক উদ্দিন, ২০০৮০১২৬ বিধান দেব, ও ২০১২০২৩৩ ইমতিয়াখ মাহমুদ।
কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক (ডিজি) রিয়ার অ্যাডমিরাল এ এম এম এম আওরঙ্গজেব চৌধুরী বলেন, সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, চোরাচালান দমন এবং জলদস্যুদের উৎপাত থেকে বিদেশি জাহাজ ও মেহনতি জেলেদের রক্ষা করা সরকারের অঙ্গীকার। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে কোস্টগার্ড।
তিনি বলেন, সীমিত সম্পদ ও জনবলের ঘাটতি সত্ত্বেও বিগত বছরগুলোতে কোস্টগার্ড সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ আধাসামরিক বাহিনীর সর্বস্তরের সদস্যগণের দেশপ্রেমিক মনোভাব, আন্তরিকতা ও পেশাগত উৎকর্ষতার মাধ্যমে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ইতোমধ্যে দেশ ও জনগনের সেবক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
জেইউ/বিএ