ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আপনাদের মাঝে আমার হারানো ভাইদের খুঁজে পাই : শেখ হাসিনা

আমানউল্লাহ আমান | বরিশাল থেকে | প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সেনাবাহিনী সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরর সঙ্গে আমাদের রয়েছে সুদৃঢ় পারিবারিক বন্ধন। আমি আপনাদের মাঝে আমার হারানো ভাইদের খুঁজে পাই। আমার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দ্বিতীয় ভাই শহীদ লে. শেখ জামাল ১৯৭৫ সালে রয়েল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ড হার্স্ট্র নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে কমিশন লাভ করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ছোট ভাই রাসেলেরও ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার। কিন্তু ১৯৭৫ সালেরর ১৫ আগস্ট ঘাতকরা সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

বৃহস্পতিবার বরিশালে শেখ হাসিনা সেনানিবাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনীর অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী একাগ্রতা, কর্মদক্ষতা ও নানাবিদ জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে।যেকোনো দুর্যোগে আত্মমানবতার সেবায় ও জানমাল রক্ষায় সেনাবাহিনীর দায়িত্বশশীল ভূমিকা সবসময় প্রশংসিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ একটি ব্রান্ড নেম, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দায়িত্বশীলতা ও সহমর্মিতার সঙ্গে দুর্গতদেরর সাহায্য করে সশস্ত্র বাহিনী অনন্য নজির স্থাপন করেছে। মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত নাগরিকদের সহায়তায় সেনাবাহিনী প্রশংসার সঙ্গে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। যা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধান ও দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি জনকল্যাণমূলক কাজে ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীকে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিক ও শক্তিশালী হিসাবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ দেশপ্রেমিক, পেশাদার সশস্ত্র বাহিনীকে বিশ্বমানের আধুনিক বাহিনীতে উন্নিত করতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষপ নিয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে এ ডিভিশনটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আজ সাত পদাতিক ডিভিশনকে পূর্ণতা দেয়ার লক্ষ্যে ডিভিশন সদর দফতর ও দুইটি বিগ্রেড সদর দফতরসহ মোট ১১ টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলিত হলো।

এইউএ/এমবিআর/এএইচ/আরআইপি/জেআইএম

আরও পড়ুন