‘জাতিসংঘে বাংলা চাই’ দাবি উঠুক সর্বত্র
বান্ধবী ঝরালতাকে সঙ্গে নিয়ে বইমেলা ঘুরতে এসেছেন মাহফুজ শামীম। দু’জনই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া। বুধবার মেলার শুরু থেকেই স্টলে স্টলে ঘুরছেন। নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকে যেন আরও প্রাণবন্ত দু’জনে। প্রিয় লেখকদের বই কিনেছেন বেশ কয়েকটি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা প্রাঙ্গণ চষে সন্ধ্যায় পা ফেলছেন বাংলা একাডেমি চত্বরে। বর্ধমান হাউসের পশ্চিম ধার ঘেঁষে খানিক এসেই আটকে যান তারা। ফেস্টুনে চোখ রেখে খানিক ভাবনার অবতারণা করেন। এরপর আর সময় না বাড়িয়ে স্টলের দিকে এগিয়ে যান। স্টলে রাখা ল্যাপটপে হাত রেখে দু’জনেই আবেদন করেন ‘জাতিসংঘে বাংলা চাই’।
আবেদন করার পর অনুভূতি প্রকাশ করেন মাহফুজ শামীম। বলেন, আমাদের বাংলা ভাষার যে ইতিহাস, তা পৃথিবীর অন্য কোনো ভাষার নেই। রক্ত দিয়ে আমরা আমাদের ভাষার অধিকার রক্ষা করেছি। আমাদের ভাষার মর্যাদা সর্বোচ্চ বলেই বিশ্বাস করি।‘জাতিসংঘে বাংলা চাই’ এমন দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এ তরুণ আরও বলেন, এ দাবি উঠুক সর্বত্র। আমরা তরুণরাই এ দাবিতে সোচ্চার হতে পারি সবার আগে। আমরা আমাদের ভাষার সম্মানে দাবি না তুললে, অন্যের ওপর তো ভরসা রাখতে পারি না।
বান্ধবী ঝরালতা তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘জাতিসংঘে বাংলা চাই’ প্রাণের দাবি হোক এটি। আবেদন করে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকলাম। হয়ত একদিন জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলার জায়গা হবেই।
জাতিসংঘের ছয়টি দাপ্তরিক ভাষা ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, মান্দারিন, রুশ ও আরবির সঙ্গে এবার বাংলাকে সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করার দাবি এখন সর্বত্রই। এ দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দেশের শীর্ষ অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম।
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বাইরে থেকে যেকোনো ব্যক্তি তার নাম এবং ই-মেইল অথবা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে আবেদন (দাবির প্রতি একাত্মতা) করতে পারবেন। কর্মসূচি শেষে জাতিসংঘের মহাসচিব বরারব আবেদন (পিটিশন) পৌঁছে দেয়া হবে। মাসব্যাপী এ কর্মসূচিতে সহায়তা করছে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ‘প্রাণ’।
আবেদন করার লিংক www.jagonews24.com/makebanglaofficial
এএসএস/ওআর/এমএস