আবদুল হামিদকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে গেজেট
আবদুল হামিদকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার বিকেলে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত গেজেটটি প্রকাশ করা হয়।
এর আগে দুপুরে দ্বিতীয় মেয়াদে কিশোরগঞ্জের কৃতিসন্তান মো. আবদুল হামিদকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ১৯ এপ্রিল শপথ নিতে পারেন বলে এ সময় সিইসি বলেন।
রাষ্ট্রপতি পদে অন্যকোনো প্রার্থী না থাকায় মনোনয়নপত্র পরীক্ষা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিইসি জানান, ‘মো. আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এ সংক্রান্ত গেজেট আজই প্রকাশ করা হবে।’ এছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য কমিশন বঙ্গভবনে যাবে বলেও জানান তিনি।’
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আবদুল হামিদের পক্ষে তিনটি মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়। প্রথমটিতে প্রস্তাবক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সমর্থক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। দ্বিতীয়টিতে প্রস্তাবক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং সমর্থক আ স ম ফিরোজ। তৃতীয়টির প্রস্তাবক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং সমর্থক এমপি আতিউর রহমান আতিক।
সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় রাষ্ট্রপ্রধানের পদে ৭৪ বছর বয়সী আবদুল হামিদের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর যে কোনো দিন শপথ নিতে পারেন। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে রাষ্ট্রপতির পদশূন্য হওয়ার ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির তারিখের আগের ৯০-৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
গত ৩১ জানুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় আবদুল হামিদকে আবারও রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত শুক্রবার আবদুল হামিদের পক্ষে জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন এবং রোববার রাষ্ট্রপতি ওই মনোনয়নপত্রে সই করেন।
স্বাধীনতার পর ১৯ মেয়াদে এখন পর্যন্ত ১৬ জন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই হিসেবে আবদুল হামিদ এ পদে সপ্তদশ ব্যক্তি। বাংলাদেশের আইনে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকতে পারেন।
এইচএস/জেএইচ/এমএস