আবদুল হামিদ দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত
দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন কিশোরগঞ্জের কৃতিসন্তান মো. আবদুল হামিদ। প্রার্থীর সংখ্যা একজনের বেশি না হওয়ায় বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯ এপ্রিল শপথ নিতে পারেন তিনি।
নির্বাচন ভবনে রাষ্ট্রপতির মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে প্রেসব্রিফিং করে এ ঘোষণা দেন সিইসি। কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। সে সময়ও তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
গত সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আবদুল হামিদের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আবদুল হামিদের পক্ষে তিনটি মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়। প্রথমটিতে প্রস্তাবক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সমর্থক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। দ্বিতীয়টিতে প্রস্তাবক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং সমর্থক আ স ম ফিরোজ। তৃতীয়টির প্রস্তাবক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং সমর্থক এমপি আতিউর রহমান আতিক।
সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় রাষ্ট্রপ্রধানের পদে ৭৪ বছর বয়সী আবদুল হামিদের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর যেকোনো দিন শপথ নিতে পারেন। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে রাষ্ট্রপতির পদশূন্য হওয়ার ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির তারিখের আগের ৯০-৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
গত ৩১ জানুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় আবদুল হামিদকে আবারও রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত শুক্রবার আবদুল হামিদের পক্ষে জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন এবং রোববার রাষ্ট্রপতি ওই মনোনয়নপত্রে সই করেন।
স্বাধীনতার পর ১৯ মেয়াদে এখন পর্যন্ত ১৬ জন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই হিসেবে আবদুল হামিদ এ পদে সপ্তদশ ব্যক্তি। বাংলাদেশের আইনে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকতে পারেন।
এসএইচ/এমএআর/আরআইপি