গ্রন্হাগারের সেবাদান উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সরকারের বিরামহীন উন্নয়ন প্রয়াসে অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় গ্রন্হাগারের সেবাদান কার্যক্রমও উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে। গ্রন্হাগারের পড়াশোনা এখন সনাতন ধারা থেকে তথ্যপ্রযুক্তির ধারায় শামিল হয়েছে।
জাতীয় গ্রন্হাগার দিবস (৫ ফেব্রুয়ারি) উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। একই সঙ্গে দিবসটি উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
গ্রন্হাগার হলো সভ্যতার দর্পণ -এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানব জাতির শিক্ষা, রুচিবোধ ও সংস্কৃতির কালানুক্রমিক পরিবর্তনের সঙ্গে গ্রন্হাগারের নিবিড় সম্পৃক্ততা রয়েছে। সে কারণে গ্রন্হাগার হচ্ছে অতীত ও বর্তমান শিক্ষা সংস্কৃতির সেতুবন্ধ।
রাষ্ট্রপতি বাণীতে উল্লেখ করেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ালেখা সাধারণত বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস কিংবা গবেষণা নির্ভর হয়ে থাকে কিন্তু গ্রন্হাগারে জ্ঞানান্বেষণের ব্যাপ্তি সীমাহীন। সে বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ১৯৫৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। তাই এ দিনটিকে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করায় বর্তমান সরকারকে তিনি সাধুবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাহিত্য সংস্কৃতির মূল্যবান উপাদান সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আর্কাইভস ও গ্রন্হাগার অধিদফতর।
জাতীয় গ্রন্হাগার দিবস গ্রন্হাগার ব্যবহারে দেশের মানুষকে আরও উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে উল্লেখ করে তিনি জাতীয় গ্রন্হাগার দিবস-২০১৮’র সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
আরএস/জেআইএম