প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ তুলে দেয়ার প্রস্তাব
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে যদি আসল প্রশ্নপত্র মিলে যায় সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা বাতিল করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপরও প্রথম দু’টি পরীক্ষাতেই প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। তবে মন্ত্রণালয় তা মানতে নারাজ।
তবে আসলেই প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে কি-না এবার তা দেখতে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নুরুল ইসলাম নাহিদ নেতৃত্বাধীন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটি বিকেল ৩টায় বৈঠকে বসেছে। শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যসহ পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সবাই উপস্থিত রয়েছেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে তিনটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে এমসিকিউ (নৈব্যত্তিক) তুলে দেয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া ফাঁসকারীর পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা এবং স্মার্ট ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশকারীদের (শিক্ষক-পরীক্ষার্থী) ৫০ টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে। বৈঠকে প্রস্তাব তিনটি পাস হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
জানা গেছে, কমিটি মূলত খতিয়ে দেখবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কি-না। কমিটি যদি ফাঁসের প্রমাণ পায় তবেই আগের দেয়া কথা মতো পরীক্ষা বাতিল করা হবে। একজন সচিবের সমন্বয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) ও বোর্ড কর্মকর্তাদের নিয়ে এ কমিটি গঠন করা হবে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সব চেষ্টা করছি। যেহেতু আমরাও কথা দিয়েছি প্রশ্ন ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিল করা হবে, তাই কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সেই কমিটি প্রশ্ন ফাঁসের ন্যূনতম প্রমাণ পেলেও পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
এমএইচএম/এএইচ/আইআই