মনোরম পরিবেশে ডিএনসিসির দৃষ্টিনন্দন ফুডকোর্ট
লাল ইটের তৈরি অনেকগুলো দোকান, ছোট ছোট ব্রেঞ্চ, টেবিল। উপরে খোলা আকাশ। বসার টেবিলের পাশেই বাঁশঝাড়, হাসনাহেনা, কাঠগোলাপসহ নানা ফুলগাছ। এমন এক মনোরম পরিবেশে বসে চা, কফিসহ নানা খাবার খেতে পারবেন নগরবাসী। এখানে বসে জমিয়ে আড্ডা দেয়াও যাবে।
এটি রাজধানীর বনানী এলাকায় গড়ে উঠা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ফুটকোর্ট। কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সংলগ্ন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কমিউনিটি সেন্টার ঘেঁষে এই ফুডকোর্টের ঠিক বিপরিত পাশে বনানী মাঠ। দৃষ্টিনন্দন এ ফুডকোর্টটি ভোজনরসিকদের অবশ্যই আকৃষ্ট করবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
বনানীতে অবস্থিত বেসরকরি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ফুডকোর্টটি দেখিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলেন। এদের একজন শিহাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, বনানী এলাকায় অনেকগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও অফিস আছে। তাদের বসার বা আড্ডা দেয়ার জায়গা একবারেই কম। এখনে এমন মনোরম পরিবেশে খোলা আকাশের নিচে ডিএনসিসি'র ফুডকোর্ট আসলেই ভালো উদ্যোগ। এতে করে আমাদের মতো মানুষের একটা সুন্দর বসা ও খাওয়ার জায়গা হবে।
এমন মনোরম পরিবেশে ফুডকোর্ট তৈরির বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও ফুডকোর্টের প্রকল্প পরিচালক খন্দকার মাহবুব আলম বলেন, ঢাকা শহরে কোথাও বসে আড্ডা দেয়ার মতো জায়গা কম। তাই খোলা জায়গায় বসে মানুষ খাবে, গল্প করবে এমন চিন্তা থেকে ফুডকোর্টটি তৈরি করা হয়েছে। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক এই ফুডকোর্ট করার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী, স্থপতি কাসেফ চৌধুরীর নকশায় ও তত্ত্বাবধানে এটি নির্মাণ করা হয়।
প্রায় এক বিঘা জায়গার ওপর তৈরি ফুডকোর্টটি নির্মাণ ব্যায় হয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকা। ২০১৬ সালের শেষ দিকে কাজ শুরু হয়। বর্তমানে এটির নির্মাণ কাজ শেষ। ডিএনসিসি'র প্রকৌশল বিভাগ থেকে সম্পত্তি বিভাগে হস্তান্তর করা পরই আনুষ্ঠানিকভাবে এটি চালু হবে। ফুডকোর্টটি নির্মাণ করেছে এস এম কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এই ফুড কোর্টের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন শেষ হয়েছে কয়েক মাস আগে। এখন অপেক্ষা ডিএনসিসি'র প্রকৌশল বিভাগ থেকে সম্পত্তি বিভাগে হস্তান্তরের। সে কাজও অনেকটা এগিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। আর এই আনুষ্ঠানিকতার পরই চালু হতে যাচ্ছে মনোরম এই ফুডকোর্টটি।
এএস/এমবিআর/এমএস