ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মধ্যবাড্ডার আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত: ০৮:৩২ এএম, ২০ জুলাই ২০১৫

রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকার কয়েকটি টিনশেড বাড়িতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুনে ছয়টি টং বাড়ি পুড়ে গেছে। প্রতিটি টং ঘরে ২৫ থেকে ৩৫টি পরিবার ও ব্যাচেলরদের বসবাস ছিলো। তবে কোনো প্রাণহানির ঘটনা নেই। ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ও স্থানীয়দের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।


ফায়ার সার্ভিস, প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিবেদক জানান, দুপুর পৌনে ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।




প্রত্যক্ষদর্শী কিসমত আলী দুপুরে জাগো নিউজকে জানান, আগুনের সূত্রপাত ঘটে একটি ফুসকার দোকান থেকে। সেখান থেকে দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এক পর্যায়ে তা স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার ওসমান গনির টং ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই আগুনের ব্যাপকতা ও তীব্রতা বাড়তে থাকে। চলে যায় তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তবে তীব্রতার কথা জানতে পেরে ১১টি ইউনিট পাঠানো হয়।



সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রথম দিকে পানি ও গাড়ি প্রবেশের পথ না পাওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে দমকল বাহিনীকে। ততক্ষণে তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে স্থানীয়রা নেমে আসেন।

প্রত্যক্ষদর্শী তৌহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিটি টং ঘরে ২৫ থেকে ৩৫টি ছোট ছোট কক্ষ করে ভাড়া দিয়েছেন ওসমানি গনি। পাশে একটি গেস্ট হাউস ছিল। সেটিও পুড়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেশির ভাগ টং ঘরের ভাড়াটিয়ারা ঈদ করতে বাড়িতে চলে গেছেন। অল্প সংখ্যক লোক ছিলেন। নারী ও শিশু ছিলো একেবারেই কম। তাই প্রাণহানির ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের দল দুপুর সোয়া ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিটি ঘরে পরিবারের জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

কাজের সুবিধার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা। এদিকে, আগুনের ঘটনায় বাড্ডার প্রগতি সরণির দু’পাশে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে আশেপাশের এলাকায় কিছুটা যানজট তৈরি হয়ে যায়।

এসএ/বিএ