বয়স্কদের নিয়ে টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে : স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বয়স্ক জনসমষ্টিকে সঙ্গে নিয়ে টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে। বয়স্ক জনসংখ্যার সর্বাত্মক কল্যাণ নিশ্চিতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় অবশ্যই আমাদের অগ্রমুখী নীতি ও কৌশল গ্রহণ করতে হবে। যাতে বয়স্করা কোনোভাবে পেছনে পড়ে না থাকেন। টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে তারাও যথাযথ ভূমিকা পালনে সক্ষম।
বুধবার জাতিসংঘ সদর দফতরে ‘কমিশন ফর স্যোসাল ডেভোলপমেন্ট’-এর ৫৬তম অধিবেশন উপলক্ষে বয়স্কদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য ২০০২ সালে গৃহীত মাদ্রিদ ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশানের তৃতীয় রিভিউ ও অ্যাপরাইজালের আঞ্চলিক ফলাফলের ওপর গ্লোবাল রিভিউ সংক্রান্ত এই সভা হয়।
স্পিকার তার বক্তৃতায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্রমবর্ধমান ধারার কথা উল্লেখ করে বলেন, শিশু ও নারী মৃত্যুহার হ্রাস এবং প্রজনন ক্ষমতা কম এমন দীর্ঘজীবী দম্পতিদের সংখ্যা বৃদ্ধি বয়স্ক জনসংখ্যার এই ধারা সৃষ্টি করেছে।
বয়স্ক জনগণের কল্যাণে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন। তিনি জানান বর্তমান সরকার তিন দশমিক পাঁচ মিলিয়ন প্রবীন জনগোষ্ঠীকে বয়স্কভাতা প্রদান করছে। দেশে প্রবীণদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিদ্যমান হাসপাতালগুলোয় প্রবীণদের জন্য বেড সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ এশীয় ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশে বয়স্কদের মানবিক অধিকার নিশ্চিত করতে ‘পিতামাতার ভরণ-পোষণ আইন’ প্রণয়ন করা হয়েছে। বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য গৃহীত মাদ্রিদ ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশানের প্রতি এশীয় ও প্রশান্তমহাসগরীয় দেশগুলো সর্বদাই প্রথাগতভাবে শ্রদ্ধাশীল বলে তিনি সভাকে অবহিত করেন।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য মাদ্রিদ ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশান গৃহীত হয়। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এর রিভিউ হয় এবং কমিশন ফর স্যোশাল ডেভোলপমেন্টের অধিবেশনে রিপোর্ট উত্থাপন করা হয়। এবারের ৫৬তম অধিবেশনে গ্লোবাল রিভিউতে এর তৃতীয় রিভিউ উপস্থাপিত হলেঅ। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে আঞ্চলিক রিপোর্ট উপস্থাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এই গ্লোবাল রিভিউতে অংশ নেন এবং বক্তব্য দেন।
উচ্চ পর্যায়ের এই আলোচনা সভায় প্যানেলিস্ট ছিলেন প্যারাগুয়ের স্যোসাল অ্যাকশানবিষয়ক মন্ত্রী হেক্টর র্যামন কার্ডিনাস মলিনাস, পর্তুগালের শ্রম, সংহতি ও সামজিক নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী জোসে অ্যান্তোনিও ভাইয়ারা দ্য সিলভা, জাম্বিয়ার কমিউনিটি ডেভোলপমেন্ট ও সোস্যাল সার্ভিস বিষয়ক মন্ত্রী মিজ এমিরাইন কাবানসি, বৈরুতের আমেরিকান ইউনিভার্সিটির মহামারি বিদ্যা ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আলবা শিবাই।
অনুষ্ঠানটির মডারেটর ছিলেন স্যোসাল ডেভলেপমেন্ট কনসালটেন্ট মিজ সিলভিয়া বিয়েলিজ।
এইচএস/জেডএ/জেআইএম