ফের বাড়ছে শীত
রেকর্ড গড়ার পর ক্রমে তাপমাত্রা বেড়ে কেটে যায় শৈত্যপ্রবাহ। আবার কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। এটা আরও বিস্তার লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান শনিবার জাগো নিউজকে বলেন, ‘তাপমাত্রা কমায় শীত ধীরে ধীরে বাড়ছে। ঢাকাসহ সারাদেশেই শীতের প্রকোপ বাড়বে। কয়েকটি স্থানে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিয়েছে, এটা আরও বিভিন্ন স্থানে ছড়াতে পারে। তবে শীত তীব্র আকার ধারণ করার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকায় হয়তো শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেবে না, তবে তাপমাত্রা কমে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নেমে যেতে পারে। আগামী তিন/চারদিন তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে যাওয়ার বিষয়টি থাকবে। এরপর তাপমাত্রা আবার বাড়বে।’
খাতা-কলমের হিসাব অনুযায়ী, বাংলা পৌষ ও মাঘ মাস হচ্ছে শীতকাল। শনিবার শীত ঋতুর শেষ মাস মাঘের ১৪ তারিখ।
আবহাওয়া অধিদফতর শনিবার সকালে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, শ্রীমঙ্গল, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
গত ২৫ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (কুড়িগ্রামের রাজারহাটে)। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দুই দিনের ব্যবধানে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি (শ্রীমঙ্গলে) সেলসিয়াস। শনিবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে বলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর নিচে হলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত ৮ জানুয়ারি তেতুলিয়ায় দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। ১৯৪৮ সাল থেকে তাপমাত্রার রেকর্ড আছে, এর মধ্যে ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরএমএম/এআরএস/জেআইএম