ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

অর্থপাচারের দাবি তথ্যভিক্তিক নয় : অর্থমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৫১ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার হয়ে যাচ্ছে মর্মে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে যে দাবি করা হচ্ছে তা তথ্যভিত্তিক নয়।

তিনি বলেন, দেশ থেকে অর্থপাচারের মাত্রা যাই হোক না কেন, পাচারের সম্ভাব্য উৎসগুলো বন্ধ করার বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি দুর্নীতি বা অন্য কোনো অপরাধ হতে অর্জিত অর্থ নিয়মবহির্ভূতভাবে বিদেশে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সরকার সক্রিয় রয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদকে এ কথা জানান। তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে বিদেশে অর্থপাচারের সনাক্ত হওয়া ঘটনাগুলোয় অর্থ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দেশের আইন প্রয়োগকারী কর্র্তপক্ষ ও ফাইন্যান্সিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট বিদেশে তাদের কাউন্টারপার্টদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করছে। সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, হংকং ও কানাডায় ফ্ল্যাট বা বাড়ি অথবা অন্য কোনো পদ্ধতিতে অর্থপাচার বিষয়ক বেশকিছু মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন ও দুদকের তদন্তাধীন রয়েছে।

সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ফারমার্স ব্যাংকে বর্তমানে তারল্য সঙ্কট বিদ্যমান থাকার ফলে গ্রাহকদের আমানত ফেরত দিতে পারছে না। ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর পর হতে রেগুলেটরি ও প্রুডেনশিয়াল নিয়ম কানুন পরিপালনে অনিহা এবং পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ব্যাংকটির আর্থিক ভিত্তি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে থাকে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হলেও সার্বিক অবস্থার উন্নতি না হয়ে ক্রমাবনতি বিদ্যমান থাকে। ইতোমধ্যে ব্যাংকটির দুর্বল আর্থিক অবস্থা বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হলে আমানতকারীরা ব্যাংক থেকে আমানত উঠিয়ে নিতে থাকে এবং তারল্য সঙ্কটের সৃষ্টি হয়। ফারমার্স ব্যাংকের তারল্য সঙ্কটজনিত সমস্যা মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে ব্যাংকটির তারল্য সঙ্কট নিরসনে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।

ইতোমধ্যে ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক অপসারণ করে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। ওই ব্যাংকে বিভিন্ন ফান্ড ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পর্যায়ক্রমিক বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫০০ কোটি টাকার সাব অর্ডিনেটড বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ব্যাংকের খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারের বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করে আমানতকারীদের আস্থা অর্জনে তৎপর হওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এইচএস/ওআর/জেআইএম

আরও পড়ুন