মুসল্লিদের বরণ করতে প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ
ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের প্রধান জামায়াতের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ। শুক্রবার মুসল্লিদের বসার জন্য ঈদগাহ মাঠে ত্রিপল ও সাদা কাপড় বসানোর মাধ্যমে শেষ হয়েছে প্রস্তুতি। এবার ঈদগাহ মাঠের ২ লাখ ৫৮ হাজার বর্গফুট এলাকায় মুসল্লিদের ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে শনিবার অথবা রোববার সকাল সাড়ে আটটায় এখানে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় লাখ খানেক পুরুষ ও মহিলা একসঙ্গে নামাজ আদায় করবেন এখানে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন জানান, ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে আটটায় হওয়ার কথা তবে যদি আবহাওয়া খারাপ হয় সেক্ষেত্রে জামতটি সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) জানায়, মুসল্লিদের নামাজের সুবিধার্থে মাঠে ৩০টি বিশাল আকারের জায়নামাজ, ৮০০ টি ফ্যান (সিলিং ও স্ট্যান্ড), ৪৫০টি টিউব লাইট, ৭৪টি হ্যালোজেন বাতি, ৬৪টি ফ্লাডলাইট, ৩৫টি পানির ড্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠের পূর্বপাশের অজুখানায় একসঙ্গে ১৪০ জন মুসল্লির অজুর ব্যবস্থা করেছে ডিএসসিসি। রাষ্ট্রপতির নামাজ আদায় করার স্থানে একটি কুলিং মেশিন বসানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
ভিআইপিদের জন্য ইতিমধ্যে মাঠের ১১ হাজার বর্গফুট জায়গায় লালগালিচা ও কার্পেট বিছানো হয়েছে। বিকল্প হিসেবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড একটি ৫০০ কিলোওয়াটের জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কথা জানিয়েছে ডিএসসিসি।
গত বছর বৃষ্টির পাশাপাশি যদি বড় ধরণের বিপর্যয়ের জন্য ঈদের প্রধান জামাতের বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছিল বাইতুল মোকাররম মসজিদকে। তবে এবার এধরণের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনসার আলী।
সাংগঠনিক প্রস্তুতি পাশাপাশি র্যা ব-পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয়েছে ঈদগাহ মাঠে। পুলিশ ও র্যাোবের কন্ট্রোলরুম থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং, সিসিটিভি ক্যামেরা, ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ও জরুরি চিকিৎসার সেবা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এআর/এসকেডি/পিআর