আইভীর সিটি স্ক্যান সম্পন্ন
রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর মস্তিষ্কে সিটি স্ক্যান সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত সিটি স্ক্যান করা হয়।
ল্যাবএইড গ্রুপের মুখপাত্র (এজিএম, কর্পোরেট কমিউনিকেশন) সাইফুর রহমান লেনিন শনিবার দুপুর ২টার দিকে জাগো নিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত সিটি স্ক্যান রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। রিপোর্ট পেলে তার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানা যাবে।
শুক্রবার রাতে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বরেন চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, সিটি স্ক্যান রিপোর্টের মাধ্যমে মস্তিষ্কে রক্তরক্ষণ কমেছে নাকি বেড়েছে তা নির্ণয় করা হবে। এ রিপোর্টে প্রাপ্ত ফলাফলের ওপরই আইভীকে পরবর্তী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা (অস্ত্রোপচার কিংবা ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা) দেয়া হবে।
আইভীর চিকিৎসার জন্য নতুন করে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া (নিউরোলজিস্ট), অধ্যাপক ডা. আশরাফ আলী (নিউরোলজিস্ট), অধ্যাপক ডা. মাসুদ আনোয়ার (নিউরোসার্জন) ও অধ্যাপক ডা. আবুল জাহেদ (কার্ডিওলজিস্ট)।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জ নগর ভবনে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. আইভী। সেদিন তাৎক্ষণিকভাবে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ শহরে হকার ইস্যু নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) চাষাঢ়ায় হকার ও এমপি শামীম ওসমানের অনুসারীদের সঙ্গে মেয়রের লোকজনের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের সময় মেয়র আইভীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়। সেই সঙ্গে আহত হয় সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ আরও অনেকে।
এমইউ/এআরএস/এমএস