রেলযাত্রীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের সুপারিশ
ভারতের রেলযাত্রীদের যে পদ্ধতিতে খাবার পরিবেশন হয় সেই পদ্ধতিতে বাংলাদেশের রেল যাত্রীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থার মতো টিকিটে যাত্রী নাম লিখতে এবং টিকিটে লিখিত নামের যাত্রী ব্যতীত অন্য কোনো যাত্রী যাতে ট্রেনে উঠতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৪০তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে কমিটি সদস্য রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক, মোসলেম উদ্দীন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ইয়াসিন আলী এবং ফাতেমা জোহরা রানী বৈঠকে অংশ নেন।
পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ফ্রেড ট্রেন, লোকোমোটিভ, যাত্রীবাহী কোচ ও কাভার্ড ভ্যান, বিভিন্ন কারখানায় যাত্রীবাহী ট্রেন মেরামত এবং লোকোশ্যাড ও ক্যারেজশ্যাড মেরামত বিষয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে কন্টেইনার এক্সপ্রেস, ট্যাংক স্পেশাল, ফার্টিলাইজার স্পেশাল, ফুড গ্রেইন ও অন্যান্য গুডস ট্রেন পরিচালনা করে থাকে।
এছাড়াও ৪টি ইন্টারচেঞ্জ রুটে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য রেলযোগে বিভিন্ন গন্তব্যে যায়। লোকাল, এক্সপ্রেস ও মেইল ট্রেনের লাগেজ ভ্যানে পার্সেল পণ্য বহন করা হয়।
এছাড়াও বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে বর্তমানে মোট ২৭৩টি লোকোমোটিভ এবং ৬ হাজার ৪৫৯টি ওয়াগন রয়েছে যার মধ্যে মিটারগেজ লোকেমোটিভ ১৭৯টি ও ব্রডগেজ লোকোমোটিভ ৯৪টি এবং মিটারগেজ ওয়াগন ৪ হাজার ৯২৫টি এবং ব্রডগেজ ওয়াগন ১ হাজার ৫৩৪টি।
এইচএস/এমআরএম/পিআর