পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না
পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের টাকা দিচ্ছে না মিল মালিকরা। অথচ বন্ধের তালিকাভুক্ত সব কারখানার মালিকদের ক্ষতিপূরণের টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। মালিকরা সরকারকে দায়ী করে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করছে।
বুধবার পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে রি-রোলিং শ্রমিকরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে নেতারা এসব অভিযোগ করেন।
রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম খান বিপ্লবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট কমিটির দফতর সম্পাদক এসএম কাদির, শ্যামপুর-পোস্তগোলা-পাগলা শিল্পাঞ্চল শাখার সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার দফতর সম্পাদক গোলাম রব্বানী, আরবি রি-রোলিং স্টিল মিলের শ্রমিক বিল্লাল হোসেন, জালাল আহমেদ প্রমুখ।
নেতারা বলেন, পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের আওতায় জুরাইন, শ্যামপুর, পোস্তগোলা, পাগলার রি-রোলিং স্টিল মিলসহ শতাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। জমি অধিগ্রহণের কারণে কারখানাগুলো বন্ধ হবে। ইতোমধ্যে শ্যামপুরে অবস্থিত আরবি স্টিল রি-রোলিং মিলস ৩১ জানুয়ারি থেকে বন্ধের নোটিশ মালিক দিয়েছে। কিন্তু পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের টাকাসহ সমস্ত ক্ষতিপূরণের টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা একটি কারখানার নাম উল্লেখ করে বলেন, আরবি স্টিল রি-রোলিং মিলস-এর শ্রমিকরা মালিকের কাছে তাদের ক্ষতিপূরণের কথা বললে মালিক তা দিতে অস্বীকার করছে।
নেতৃবৃন্দ প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত সব কারখানার শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের প্রাপ্য পাওনা পরিশোধের দাবি করেন। মানববন্ধন শেষে ক্ষতিপূরণের দাবিতে রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্টের পক্ষ থেকে মিছিল সহযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের শ্রম অধিদফতরে উপ-পরিদর্শকের কাছে স্মারকলিপি দেন।
এফএইচএস/জেএইচ/এমএস