ডিআইজি মিজানের ‘ক্ষমতা বহির্ভূত কাজের’ প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা
‘তুলে নিয়ে বিয়ে করার’ অভিযোগে আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে যদি কারও অসততা, ক্ষমতা বহির্ভূত ও আইন বহির্ভূত কাজ করার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এ বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি অবগত আছেন। একজন অতিরিক্ত আইজিপিকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে যদি কারও অসততা, ক্ষমতা বহির্ভূত ও আইন বহির্ভূত কাজ করার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, পুলিশ একটি পেশাদার বাহিনী। যদি এ বাহিনীর কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধ করেন তবে সে কোনোভাবেই পার পাবে না।
গত বছরের জুলাই মাসে এক নারীকে তুলে নিয়ে বেইলি রোডের ডিআইজি মিজানের বাসায় নিয়ে তিনদিন আটকে রাখা এবং জোর করে বিয়ে করতে বাধ্য করার অভিযোগ করেন এক নারী।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ফেসবুকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি ছবি তোলার পর ক্ষেপে যান মিজান। বাড়ি ভাঙচুরের একটি ‘মিথ্যা মামলা’য় তাকে গত ১২ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। সেই মামলায় জামিন পাওয়ার পর মিথ্যা কাবিননামা তৈরির অভিযোগে আরেকটি মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়।
দুটি মামলায় জামিনে বেরিয়ে আসার পর পুলিশ কর্মকর্তা মিজানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন ওই নারী।
ডিএমপি’র লালবাগ বিভাগের পক্ষ থেকে অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
এআর/এআরএস/জেআইএম