ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

'র‌্যাপিড পাস' পেতে যা করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪৫ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮

রাজধানীর মতিঝিল থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত বিআরটিসির এসি বাস এবং গুলশান, বনানী, নতুন বাজারের মধ্যে চলাচলকারী ‘ঢাকা চাকা’ বাসে চালু হয়েছে র‌্যাপিড পাস কার্ডের ব্যবহার। গণপরিবহনে যাত্রীদের সহজে ভাড়া পরিশোধের লক্ষ্যে রাজধানীর সব পাবলিক পরিবহনে পর্যায়ক্রমে ‘র‌্যাপিড পাস’ কার্ডের ব্যবহার কার্যক্রম পরিচালনা করতে কাজ করছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ।

বিআরটিসির এসি, ঢাকা-চাকা বাসে র‌্যাপিড পাস কার্ড চালু হওয়ার পর থেকেই যাত্রীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই কার্ড। প্রাথমিকভাবে বিআরটিসির ২৫টি এসি বাস ও ঢাকার-চাকায় এই কার্ড ব্যবহৃত হচ্ছে। বিআরটিসি এসি বাস এবং ঢাকা চাকা পরিবহনের জন্য ইতোমধ্যে ৬০ হাজার র‌্যাপিড পাস কার্ড তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত সচিব প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মজুমদার।

র‌্যাপিড পাস কার্ড:
র‌্যাপিড পাস কার্ডের মাধ্যমে পরিবহনে নির্ধারিত ভাড়া দেয়া যাবে। র‌্যাপিড পাস মূলত ক্রেডিট কিংবা ডেবিট কার্ডের মতো। যাত্রী বাসে ওঠার সময় কার্ডটি বাসে রাখা মেশিনে পাঞ্চ করলে সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে। আবার যাত্রী যখন কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নামবেন তখন আবার কার্ড পাঞ্চ করলে নির্ধারিত গন্তব্য অনুযায়ী কার্ড থেকে ভাড়া কেটে নেয়া হবে। সেই কার্ড আবার রিচার্জ করা যাবে। বিআরটিসি এসি ও ঢাকা চাকা বাসের পরে পর্যায়ক্রমে এই কার্ড বেসরকারি গণপরিবহনে ব্যবহার বিষয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

র‌্যাপিড পাস কার্ড পেতে যা করতে হবে:
কার্ড ব্যবহারকারীকে প্রথমে নিবন্ধন ফরম জমা দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দুই কার্যদিবস সময় লাগবে। ৪০০ মূল্যে কার্ডটি ক্রয় করা যাবে। প্রাথমিকভাবে রিচার্জের টাকা শেষ হয়ে গেলে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৮টি শাখা থেকে র‌্যাপিড পাস কার্ড ক্রয় এবং রিচার্জ করা যাবে। রিচার্জ করার শাখাগুলো হলো- মতিঝিল লোকাল অফিস শাখা, মতিঝিল বৈদেশিক বিনিময় শাখা, এলিফ্যান্ট রোড শাখা, উত্তরা শাখা, বনানী শাখা, গুলশান সার্কেল-১ শাখা, গুলশান শাখা ও সোনারগাঁ জনপথ শাখা। এছাড়া নতুন বাজার, গুলশান-২, শ্যুটিং ক্লাব ও বনানী টিকেট কাউন্টার থেকে ঢাকা চাকার র‌্যাপিড পাস কার্ড ক্রয় ও রিচার্জ করা যাবে। অন্যদিকে বিআরটিসির এসি বাসের জন্য হাউজ বিল্ডিং, বনানী, শাহাবাগ ও মতিঝিলে পাওয়া যাবে।

rab

ক্ষতিগ্রস্ত কার্ড পুনঃপ্রদান:
ব্যবহারকারী ক্ষতিগ্রস্ত কার্ড অপারেটরকে ফেরত দিয়ে পুনঃপ্রদান ফি বাবদ ২০০ টাকা প্রদান সাপেক্ষে নতুন কার্ড নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অপারেটর নতুন প্রদানকৃত কার্ডের পূর্বের ব্যালেন্স স্থানান্তর করে দিবেন।

হারানো কার্ড পুনঃপ্রদান:
ব্যবহারকারী নতুন কার্ডের জন্য ২০০ টাকা জমা ফি এবং ২০০ টাকা পুনঃপ্রদান ফি প্রদান করবেন। অপারেটর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে নতুন প্রদানকৃত কার্ডের পূর্বের ব্যালেন্স স্থানান্তর করে দিবেন।

হারানো কার্ড ফেরত:
ব্যবহারকারী হারানো কার্ড ফেরত পেলে অপারেটরকে জমামূল্য ফেরত প্রদানের জন্য দিবেন। অপারেটর সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে কার্ড নিষ্ক্রিয় করে রিফান্ড ফি বাবদ ১০ টাকা কেটে নিয়ে কার্ডের মূল্য ফেরত দিবেন।

কার্ড রিচার্জ করতে ভুলে গেলে:
কেউ যদি কার্ড রিচার্জ করতে ভুলে গেলেন কিন্তু হাতে সময় নেই। তখন কার্ড টাচ করে যাতায়াত করতে পারবে। তখন যাতায়াত ভাড়া নেগেটিভ হিসেবে কার্ডে থাকবে। যখন কার্ড রিচার্জ করা হবে তখন টাকা কেটে নিবে। বাস ভাড়া ধার নেয়া যাবে একবার রিচার্জ করার আগ পর্যন্ত।

রিফান্ড:
যদি কোনো নিবন্ধিত ব্যবহারকারী কার্ড ফেরত দিতে চান, সেক্ষেত্রে অপারেটর সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে ১০ টাকা কেটে নিয়ে কার্ডের মূল্য (জমা ও রিচার্জ) ফেরত দিবেন।

এএস/এমবিআর/এমএস

আরও পড়ুন