ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ওলামাদের বিক্ষোভ : ভোগান্তিতে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৭ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

বিতর্কিত ও আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের মুরব্বী মাওলানা সাদ কান্দলভীর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেয়া প্রতিহত করতে আলেমদের আন্দোলনে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন ফ্লাইটের যাত্রীরা।

আনেকেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছেন। বাসের দেখা নেই। এমনকি সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা প্রাইভেটকারও চলছে না। অনেকে বাধ্য হয়ে লাগেজ ও শিশু কোলে নিয়ে পায়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছেন নিজ নিজ গন্তব্যে।

খিলক্ষেত এলাকায় এমন বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা তাদের ভোগান্তির কথা জাগো নিউজের কাছে তুলে ধরেন।

sad

পলি পারভীন ওমান থেকে সকাল ৯টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে প্রায় ৩ ঘণ্টা অপেক্ষার পর পায়ে হেঁটে গাবতলীর উদ্দেশে রওনা হন। গাবতলী থেকে যশোরে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাবেয়া নামে অপর এক যাত্রী দুবাই থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সকাল ১১টায় ঢাকায় পৌঁছান। যাতায়াতের কোনো উপায় না দেখে বাধ্য হয়ে শিশুসন্তান ও লাগেজ নিয়ে পায়ে হেঁটে তিনিও গাবতলীর উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর দেশে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়লাম। কোনো উপায় না দেখে বাধ্য হয়ে শিশুসন্তান কোলে করে এ লাগেজ নিয়ে পায়ে হেঁটে রওনা করেছি। এখান থেকে প্রথমে গাবতলীতে যাবে তার পর বাসে করে যশোরে নিজ বাড়িতে যাব। এখন ভালোয় ভালোয় পৌঁছাতে পারলেই হয়।’

sad

ইসমাইল নামে এক যাত্রী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ১১টায় শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান। পায়ে হেঁটে তিনি মিরপুরের দিকে রওনা দিয়েছেন। পরে তিনি নওগাঁয় যাবেন।

লিটন দাস এসেছেন দুবাই থেকে সকাল সাড়ে ১১টায়। যানবহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই তিনি বাড্ডায় যান।

আসমা নামে এক যাত্রী এসেছেন রিয়াদ থেকে। তার কাছে চারটি লাগেজ থাকায় নিরুপায় হয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিমানবন্দরের পাশে ফুটপাতে বসে অপেক্ষা করছেন। তিনি সাভারে যাবেন।

sad

এদিকে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের জিম্মাদার মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভি শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংকক থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

বিমানবন্দর থানার ওসি নূরে আযম মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, আপাতত তাকে ইজতেমা মাঠে নেয়া হবে না। তিনি বিমানবন্দরের ভেতরেই থাকবেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, তবলীগের নেতাদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এআর/এমবিআর/জেআইএম

আরও পড়ুন