মাদকের ৫০ লাখ টাকা লেনদেন করেন বিকাশ এজেন্ট জনি
মাদক ব্যবসায় লেনদেনের অভিযোগে ফের বিকাশের আরেক এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদের নেতৃত্বে একটি দল বিকাশ এজেন্ট আব্দুর রহিম জনিকে (২৯) সোমবার রাতে রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার করার সময় তার কাছ থেকে তিনটি সচল মোবাইল ফোন, পাঁচটি সচল সিম কার্ডসহ মোট ৩৩টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়, যার সবগুলোয় বিকাশ অ্যাকাউন্ট করা।
সিআইডি জানিয়েছে, মাদক ব্যবসায়ীদের প্রায় ৫০ লাখ টাকা বিকাশ এজেন্ট আব্দুর রহিম জনির একাউন্ট থেকে পাঠানো হয়। নুরুল হক ওরফে ভুট্টো নামে অপর মাদক ব্যবসায়ী এই টাকা উত্তোলন করেছেন, যার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সিআইডির সিনিয়র সহকারী কমিশনার (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া সেল) শারমিন জাহান জানান, গত বছরের ২৯ আগস্ট কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪(২) দায়ের করা মামলায় (মামলা নং-৭৪) তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ওই মামলায় তদন্ত করতে গিয়েই মাদকের টাকা লেনদেনে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় বিকাশ এজেন্ট আব্দুর রহিম জনিকে পল্লবী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ওই মামলার আসামি ফয়সাল তার বিকাশ এজেন্ট থেকে টেকনাফের বিভিন্ন বিকাশ অ্যাকাউন্টে ক্যাশইন ও ক্যাশআউট করতেন।
ফয়সাল মাদক বিক্রয়ের টাকা আসামি আব্দুর রহিম জনির নিকট নিয়ে আসত এবং তার কাছ খেকে উদ্ধার করা বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে টেকনাফের বিকাশ এজেন্ট ও অন্যান্য বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠাত, যা পরবর্তীতে বর্ণিত মামলার ১নং আসামি নুরুল হক ওরফে ভুট্টো (গ্রেফতার) উত্তোলন করত।
নুরুল হক একজন বড়মাপের ইয়াবা ব্যবসায়ী। টেকনাফের বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্টের হিসাব বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ফয়সাল, রিয়াজ, আলামিন ও আলামিনের স্ত্রীর পরস্পর যোগসাজশে প্রায় ৫০ লাখ টাকা বিকাশ এজেন্ট আব্দুর রহিম জনির অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানো হয়, যা নুরুল হক ওরফে ভুট্টো উত্তোলন করেন।
জেইউ/জেডএ/আইআই