ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘একটাই চাওয়া, আজাদ যেন শহীদের মর্যাদা পায়’

জসীম উদ্দীন | প্রকাশিত: ১২:৫৪ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৮

জঙ্গি বিরোধী অভিযানে বোমার আঘাতে নিহত র‌্যাবের সাবেক গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের মর্যাদা চায় তার পরিবার। নিহত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) পাওয়ার পর পুরস্কার নিতে এসে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তার স্ত্রী মোসাম্মাৎ সুরাইয়া সুলতানা এ কথা বলেন।

পুলিশ সপ্তাহে এবার বিভিন্ন বাহিনীর ১৮২ জনকে পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ২৪ মার্চ সিলেটের আতিয়া মহলে জঙ্গি হামলায় নিহত হন র‌্যাবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আজাদ।

রাজধানীর রাজারবাগে আয়োজিত ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮’ উপলক্ষে সাহসিকতা ও সেবার স্বীকৃতি হিসেবে স্ত্রী মোসাম্মাৎ সুরাইয়া সুলতানার হাতে এ পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মোসাম্মাৎ সুরাইয়া সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, ১৭ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে খুব কাছ থেকে দেখেছি কতটা ডেডিকেটেড (নিবেদিত) অফিসার ছিল লে. কর্নেল আজাদ। কাজের জন্য, দেশের জন্য, নিজের সবটুকু উজার করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা প্রধান হিসেবে তার ছিল অনেক ব্যস্ততা। সততার সঙ্গে নিজ দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ জঙ্গি বিরোধী অভিযানে গিয়ে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। দেশের জন্য জীবন দেয়াটা গৌরবের। আমরা এ জন্য গর্ববোধ করি। আজকে প্রধানমন্ত্রী যে পদক প্রদান করেছেন এটা লে. কর্নেল আজাদের প্রাপ্ত ছিল।

সুরাইয়া সুলতানা জাগো নিউজকে আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার চাওয়া একটাই, স্বামী আজাদ যেহেতু দেশের জন্য জীবন দিয়েছে, তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ ঘোষণা করা হোক। আর কোনো চাওয়া নেই। বিষয়টি আমি র‌্যাব প্রধান, সেনাবাহিনী প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীকে সাক্ষাতে বলেছি। আশা করছি সে সম্মান আমরা পাব।

সাবেক গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী বলেন, বাবা হারা বড় ছেলে জারিফ (১২), মেয়ে জারা (৮) ও ছোট ছেলে জাবিরকে (৩) নিয়ে আমার দিন যাচ্ছে। এখন প্রতিটা পদে, প্রত্যেকটি পদক্ষেপে আজাদকে অনুভব করছি। আমার বড় ছেলেকে বাবার আদর্শে বড় করব। সে জন্য ক্যাডেটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি। আশা করছি সে পথটুকু প্রশস্ত হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ মার্চ সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহল ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পরিচালিত অপারেশন টোয়াইলাইট এ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে ঘটনাস্থলের ৩০০ গজ দূরে জঙ্গিদের রেখে যাওয়া বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন র‌্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ।

বোমার স্প্রিন্টার তার বাম চোখ ভেদ করে মস্তিস্কে আঘাত হানে। তাৎক্ষণিকভাবে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে জরুরি ভিত্তিতে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা সিএমএইচ এ স্থানান্তর করা হয়। পরের দিন ২৬ মার্চ উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নিবীড় পর্যবেক্ষণে ও চিকিৎসা শেষে গত ২৯ মার্চ দেশে ফেরত এনে পুনরায় সিএমএইচ এ ভর্তি রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ মার্চ রাত ১২টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

জেইউ/আরএস/জেআইএম

আরও পড়ুন