ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

৫০ বছর পর দেশে তাপমাত্রা নামলো ২.৬ ডিগ্রিতে

আব্দুর রাজ্জাক সরকার | প্রকাশিত: ১০:২৩ এএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৮

হিমালয় থেকে নামছে হিমশীতল বায়ু। শীতের সঙ্গে ঘনকুয়াশায় হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। ৫০ বছর পর দেশে সর্বনিম্ন তাপামাত্রার নতুন রেকর্ড হয়েছে আজ।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আমলে শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৫০ বছরের ইতিহাসে আজকের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মিজানুর রহমান সোমবার সকালে জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মিজানুর রহমান বলেন, আজ দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুরে ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া নীলফামারির ডিমলায় তৃতীয় সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

গত ৩ জানুয়ারি থেকে চলমান শৈত্যপ্রবাহ আগামী ১২-১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।

panchagarh

আমাদের পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, গরম কাপড়ের অভাবে পঞ্চগড়ের ছিন্নমূল ও গরিব মানুষ শীতের তীব্রতায় কাঁপছে। শীতের কারণে বেড়ে গেছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রকোপ। সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে ৪০ জন শিশু শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন শীতজনিত রোগে শতশত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালে।

পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সামছুল হক জানান, কম তাপমাত্রার কারণে এখনও আবাদি ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকলে বোরো বীজতলার ক্ষতি হতে পারে।

আজ কুড়িগ্রামে চতুর্থ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বেড়েছে বেশ ভালোভাবেই। সর্বশেষ রোববার বিকেলে কুড়িগ্রাম আধুনিক সদর হাসপাতালে ঠান্ডায় একদিন বয়সী এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ঠান্ডায় কুড়িগ্রামে মোট ৬ জনের মৃত্যু হলো।

রংপুর, নীলফামারি ও দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, তীব্র শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছে না বেশিরভাগ মানুষ। খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশি বিপদে পড়েছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা দেখা গেছে অনেকের। সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ঘনকুয়াশার কারণে মহাসড়কে দিনের বেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে।

 

এআরএস/জেআইএম

আরও পড়ুন