ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

জমি দখলের উদ্দেশ্যেই সংখ্যালঘু নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ০৬ জানুয়ারি ২০১৮

দেশব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, প্রতিমা ভাঙচুরসহ, হত্যা, ধর্ষণ এবং নানা ধরনের নির্যাতনের মূল কারণ ভূমি দখল করা বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. প্রভাস চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, আমরা এটাকে সাম্প্রদায়িক হামলা বলবো না, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ার পর স্বার্থ উদ্বারের জন্য রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রভাবশালীরা এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। এসব ঘটনার বেশির ভাগই সাম্প্রদায়িক নয়, বরং সম্পদ কুক্ষিগত করাই মূল লক্ষ্য বলে জানান তিনি।

শুক্রবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) এক্সপেরিমেন্টাল হলে জাতীয় হিন্দু মহাজোট আয়োজিত ‘১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে বসবাসরত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের চিত্র প্রকাশ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব তিনি এসব কথা বলেন।

প্রভাস চন্দ্র রায় বলেন, দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন। হাজার হাজার বছর ধরে বসবাস করে আসা হিন্দু সম্প্রদায় এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনেই রয়েছেন।

তবে এখন কিছু প্রভাবশালী এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়াই সংখ্যালঘুদের মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করা হয় যাতে তারা তাদরে বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে যায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন যদি ভয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে যায় তা হলে তাদের বাড়ি-ঘর এবং ফসলের জমি দখল করতে সুবিধা হবে তাই তাদেরকে ভয় দেখানো হয়।

তিনি বলেন, এসব ঘটনা ঘটনানোর মাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে ভয় দেখানো হয় যাতে তারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে যায় বা কম দামে জমি-জমা বিক্রি করে অন্য কোনো স্থানে বা দেশে চলে যায় তাতে প্রভাবশালীরা সহজেই ভূমি দখল করে নিয়ে যেতে পারে।

ইসলামি কোনো দল বা অন্য কোনো রাজনৈতিক শক্তি এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ড. প্রভাস চন্দ্র রায় বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে দায়ী করবো না। তবে ভবিষ্যাতে যাতে এসব ঘটনা আরও কমে সেটা আশা করবো সরকারের কাছে। কারণ সরকারের আন্তরিকতায় এসব ঘটনা কমতে শুরু করেছে। গত ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালের অনেক ঘটনাই হ্রাস পেয়েছে। ভবিষ্যাতে আরো যাতে কমে সেটাই কামনাইা করবো সরকারের কাছে।

তবে সারাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্ত ও বিচার সঠিকভাবে না হওয়া মূলত প্রশাসনের দুর্বলতা এবং আন্তরিকতাকে দায়ি করছেন হিন্দু মহাজোটের নেতারা।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি নির্বাচনের বছর দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতি ছত্রছায়াই প্রভাবশালীরা হুমকি-ধামকি দিয়ে অত্যাচার ভাঙচুর চালায়। তাই চলতি বছর নির্বাচন সংগঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবারও নির্বাচকে ঘিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপরে এবারও হামলার আশঙ্কা করছি। এজন্যই সরকারের কাছে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে ড. প্রভাস চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি প্রদীপ কান্তি দে, নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে, সহ-সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র বিশ্বাস, অখিল মণ্ডল, প্রভাস চন্দ্র মণ্ডল, সরুপ দত্ত্ব, রাকেশ রায়, ছাত্র মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথি রায় প্রমুখ।

এফএইচ/এমবিআর/পিআর

আরও পড়ুন