ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

লন্ডন যাচ্ছেন না সৈয়দ আশরাফ, পাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ দফতর

প্রকাশিত: ০৬:৪৬ পিএম, ১৪ জুলাই ২০১৫

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বুধবার লন্ডনে যাওয়ার কথা থাকলেও সফর বাতিল করা হয়েছে। সফর বাতিলের সুনির্দিষ্ট কারণ জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দফতর নিয়ে বিশেষ সমঝোতা হওয়ার প্রেক্ষিতেই তিনি লন্ডন যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন।

বুধবার ছোট ভাই ডা. শরিফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডন প্রবাসী আরেক ভাই ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ছিল সৈয়দ আশরাফের। এর আগেই মঙ্গলবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠক শেষে তিনি এ সফরের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।
 
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নতুন পাঁচ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা থাকলেও অফিসার্স ক্লাবের এক ইফতার পার্টিতে অংশ নেন সৈয়দ আশরাফ। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন উপদেষ্টা এইচটি ইমাম তার সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। এরপরেই গণভবনের দিকে রওনা হন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সদ্য দফতর হারানো এই মন্ত্রী।
 
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৈয়দ আশরাফের দীর্ঘ সময় বৈঠক হয়। এরপরই তিনি লন্ডন সফর বাতিল করেন। বৈঠকে দফতর নিয়ে তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে এবং সৈয়দ আশরাফকে আবারো কোনো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে সৈয়দ আশরাফকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে তিনি দফতরবিহীন মন্ত্রী থাকবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এর আগে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুপস্থিত থাকায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন ওঠে।

প্রথমে গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়ে সৈয়দ আশরাফ বলছিলেন, ‘গুঞ্জনে কান দেবেন না।’

এদিকে শনিবার ঢাকায় এক ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়ে আশরাফ বলেন, ‘আমি লাভের জন্য রাজনীতি করি না। আমার বাবা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেঈমানি করেননি। তিনি আওয়ামী লীগকে ধারণ করেই মৃত্যুকে বরণ করেন। আমার শরীরেও সেই রক্ত প্রবাহমান।’
   
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সৈয়দ আশরাফ নজরকাড়া ভূমিকা পালন করেছেন বলেই আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে এমন প্রচার রয়েছে দলের মধ্যে। পরে স্থানীয় সরকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি।

আওয়ামী লীগের ২০০৯ সালের ২৪ জুলাইয়ের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এরপর ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর দলের সর্বশেষ সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি।

এএসএস/এএ