শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস প্রত্যাখ্যান
আন্দোলনকারী নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষামন্ত্রীর এমপিওভুক্তির আশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা বলছেন, এর আগেও এ ধরনের আশ্বাস দিয়েছেলেন শিক্ষামন্ত্রী কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ কারণে শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান। তা না হলে অনশনকারীরা রাজপথ ছাড়বেন না।
মঙ্গলবার অনশনকারী নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ উপস্থিত হয়ে এমপিওভুক্তির আশ্বাস দেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের বিষয়টি নিয়ে আমি ও আমার সহকর্মীরা গত কয়েক দিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এমনকি আজ সকালেও অর্থমন্ত্রী বিদেশ যাওয়ার আগেই তার বাসায় গিয়ে আলোচনা করেছি। সেখানে অর্থমন্ত্রী শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি মেনে নেয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। নতুনভাবে আবারও এমপিভুক্তির দরজা খুলে দেয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের বিষয়টি গুরুত্ব দেয় না’ আপনারা যদি (শিক্ষক-কর্মচারীরা) এমন মনে করেন তবে আমাদের প্রতি অবিচার করা হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা নাছোড়বান্দার মতো কাজ করে যাচ্ছি। কারণ আমরা জানি শিক্ষকরা আমাদের প্রধান শক্তি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, টাকা দেয়ার বিষয়টিতে আমাদের হাত নেই। এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিষয়। যেহেতু এটি এবার অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে, তাই এর বাস্তবায়নে একটি নীতিমালা করে এমপিভুক্তির দাবিটি পূরণ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ২০১০ সাল থেকে নতুন এমপিওভুক্তি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাস পাওয়ার বিষয়ে কিছুটা সময় লাগলেও তা বাস্তবায়িত হবে বলে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন।
কিন্তু শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষামন্ত্রীর এ আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে মানি না, মানবো না বলে স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের শেষ মুহূর্তেই নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিণয় ভূষণ রায় শরীরে লাগানো স্যালাইন খুলে দাঁড়িয়ে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী এর আগেও এ ধরনের নীতিমালা করে দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তা আলোর মুখ দেখেনি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি। তার কাছ থেকে আশ্বাস পেতে চাই। তা না হলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এমএইচএম/এআরএস/এমএস