নেয়ার কিছু নেই শুধু দিতে চাই : গণসংযোগে আতিকুল ইসলাম
‘আনিসুল হক আমাদের কলিগ ছিলেন। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি যে কাজগুলো অসমাপ্ত রেখে গেছেন সেগুলো শেষ করতে চাই। আমার নেয়ার কিছু নেই শুধু দিতে চাই। আপনারা পাশেই থাকলেই হবে। কথা দিচ্ছি, আওয়ামী লীগ আমাকে মনোনয়ন দিলে সেলক্ষ্যেই কাজ করে যাব।’
সোমবার বিকেলে রাজধানীর শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে গণসংযোগে গিয়ে এসব কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের একটাই স্লোগান হবে, অচল ঢাকাকে সচল করতে চাই। কীভাবে আমরা ঢাকাতে নিরাপদে চলতে পারি এটাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ।
আতিকুল ইসলাম বলেন, একাই আমি কিছুই করতে পারব না। আমরা সবাই মিলে করলে সম্ভব। ঢাকার চাকা অচল হয়ে গেছে, এটাকে সচল করতে হবে। আমরাই পারব জলাবদ্ধতাকে দূর করতে।
তিনি বলেন, ‘আজ ঢাকার সব পার্ক দুর্বৃত্তদের দখলে চলে গেছে। সিন্ডিকেট এতে জড়িত। আমরাই পারব তাদের হাত থেকে ঢাকার পার্কগুলোকে উদ্ধার করতে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি পার্কে যেতে না পারে, মুক্ত বাতাস খেতে না পারে, তাহলে মনের বিকাশ ঘটবে না। এজন্যই আমাদের কিছু করতে হবে।
পরিবার ও নিজের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা এসপি (পুলিশ সুপার) ছিলেন। ১১ ভাই-বোনের সংসারে আমি সবার ছোট। আমার মা কাপড় ইস্ত্রি করতে পারেনি, পয়সা ছিল না। মা আমার কাপড় তাক করে বালিশের তলায় রাখতেন। এভাবেই মা আমাদের মানুষ করেছেন।’
আমি বিজিএমইর দায়িত্ব পালন করেছি। প্রাণপণ চেষ্টা করেছি রানা প্লাজার পরে পোশাকখাতকে গুছিয়ে তোলার জন্য। যাতে শ্রমিকের যেন কোনো অসুবিধা না হয়। রানা প্লাজার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি নতুন গার্মেন্স ফ্যাক্টরি গড়ার জন্য। এর ফলে বাংলাদেশে এখন প্রায় সবকটি ফ্যাক্টরি অনেক উন্নত।
‘বাবা এসপি ছিলেন বলে অনেক বদনাম শুনেছি। আমার জন্মের তিন মাস পর বাবা অবসরে যান। আমার ভাই বিচারপতি তোফাজ্জল ইসলাম। তিনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার রায়ের সময় প্রত্যেকে বিব্রতবোধ করেছে। কেউ কোনো রায় দেয়নি। যাকেই রায় দিতে বলা হয় সেই বিব্রতবোধ করে। অ্যাপিলেড ডিভিশনে থাকা ভাই তোফাজ্জলের কাছে ফাইলটা আসল। তখন তিনি মাকে বিষয়টি জানান।
মা বলেন, আমি মনে করি এই দেশে ন্যায়বিচার হওয়া দরকার। আমার মা তখন মৃত্যুশয্যায়। মা বলেছেন, বাবা যেটা সঠিক সেটাই করো। সবাই যদি বিব্রতবোধ করে জাতির পিতার হত্যার কোনোদিন বিচার হবে না। সেই দিন আমি, আমার মা, আমার বোন সবাই দরজা বন্ধ করে বাসায় বসলাম। আমাকে কিন্তু সবাই চিনে। সেদিন আমার কাছে সাতটি ফোন আসে যাতে আমি আমার ভাইকে বিব্রতবোধ করতে বলি। সেদিন আমি বলেছিলাম, যেটা ন্যায় ও সঠিক সেটিই হবে। এরপর আমার ভাই রায় দিলেন মৃত্যুদণ্ড হবে সবার। এটিই আমাদের পরিবার। সুতরাং আমরা গর্ববোধ করতে পারি।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আরেক ভাই লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মঈনুল ইসলাম। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পরে প্রধানমন্ত্রী তাকে ডেকে বিডিআর রিফর্ম করার দায়িত্ব দেন।
আতিকুল ইসলামের গণসংযোগের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, অভিনেতা আজিজুল হাকিম, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন রশিদ জনি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
জেইউ/জেডএ/আইআই