ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘনচিনি আমদানি

প্রকাশিত: ০২:২৮ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৫

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১ হাজার কেজি আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি (সোডিয়াম সাইক্লোমেট) জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। সাইট্রিক অ্যাসিড আমদানির নামে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে এসব আমদানি করা হয়। সোমবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য জানান।

রোববার চট্রগ্রাম বন্দরে এসব চিনি জব্দ করার পর সোমবার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. ওমর ফারুককে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি চালানটিতে সাইট্রিক এসিডের নামে ঘনচিনি আমদানি করা হয়েছে। পরে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সিএন্ডএফ এজেন্ট বোনি-এম ট্রের্ডার্সের প্রতিনিধি সঙ্গে নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা এসবের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম শুল্ক ভবনের ল্যাবে পাঠায়। ১২ জুলাই টেস্ট রিপোর্টে প্রমাণ পাবার পর এগুলোকে জব্দ করা হয়।

তিনি জানান, ওমর ফারুক ন্যাশনাল ব্যাংকের বাবু বাজার শাখায় এলসি খোলে। তবে সেখানে তার ভুল ঠিকানা দেয়া ছিল। পরে শুল্ক গোয়েন্দার নির্দেশে বাবু বাজার শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার কৌশলে ফারুককে তার অফিসে ডেকে পাঠান ও তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৪-১৫ সালে ফারুক ১০ বার সাইট্রিক এসিড ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানি করেছেন। সেগুলোতে ঘনচিনি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

পৃথিবীর অনেক দেশে ঘনচিনির আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশেও এর আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়।
ঘনচিনির ভয়াবহতা সম্পর্কে মইনুল খান বলেন, ঘনচিনি ফরমালিন, কার্বাইডের মতই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এটি কৃত্রিম চিনি। এক কেজি ঘনচিনি দিয়ে ৫০ কেজি সাধারণ চিনি তৈরি করা যায়। তাই ২৪০ টাকা কেজির এই চিনি কিনে এতে ম্যাগনেসিয়াম সালফেটসহ নানা ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রণ করে। পরে বাজারে ৪০ টাকা কেজি দরে সাধারণ চিনি হিসেবে এগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। দেশের আইসক্রিম, কনডেন্স মিল্ক, জুস, চকলেট ও মিষ্টিতে এই চিনি ব্যবহার করা হয়। এই চিনি খেলে হজম শক্তি নষ্ট, চর্মরোগসহ নানা দুরারোগ্য ব্যাধি হতে পারে।

চিনি কেনার আগে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ ঘনচিনির বিক্রি সম্পর্কে কারো কাছে কোন তথ্য থাকলে শুল্ক গোয়েন্দাকে জানানোর আহ্বান জানান শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক।

প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদের পর ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট এবং নিরাপদ খাদ্য আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।

এআর/এসআইএস/আরআইপি